এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে ৩ বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা প্রচন্ড কনকনে শীতে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে প্রায় সত্তর লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গণ্ডামারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জুবায়ের চৌধুরী ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে আগুনের সুত্রপাত হওয়ার পর মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আশেপাশের পুকুর খাই-খন্ড শুকনা থাকার ফলে অদুরবর্তি একটি পুকুরে পাম্পমেশিন বসিয়ে স্থানীয় জনগন প্রানপন চেস্টা চালিয়ে আগুন নেভানোর চেস্টা চালালেও ততক্ষনেই ৩ টি পরিবারের বসতঘর এবং ঘরের সকল আসবাব পত্র, কাপড় চোপড়, স্বর্নালঙ্কার ও নগদ টাকা পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৭০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। অনেক বিলম্বে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন এসআই ফিরোজ চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী ও এডভোকেট মুরাদ চৌধুরী। তাদের ৩ জনের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম প্রধান লিটন বৈঞ্চব জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় ফায়ার সার্ভিস টিম, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।’
উল্লেখ্যঃ গত ২৩ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের পুর্ব বড়ঘোনার ৯নং ওয়ার্ডের পাতলা বাপের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ১৫টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এসময় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানেও পৌঁছাতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল।