যশোরের ৬ উপজেলার ১৭ এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে। ফলে এসব এলাকা মঙ্গলবার সকাল ৬ থেকে অনিদিষ্টিকালের জন্যরোড জোনের আওতায় থাকবে। সোমবার দুপুরে জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, রেডজোন ঘোষণার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেড জোন এলাকায় সব ধরনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, যাবাহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তির পরিবহন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি, জরুরি সংবাদকর্মীর গাড়ি প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল সেবামুলক প্রতিষ্টান খোলা থাকবে। সকল প্রকার স্কুল,কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকেব।
সকল হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পরিচালিত ব্যাংকিং সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে সকলকে আবশ্যিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়া প্রকাশ্য স্থানে বা গণজমায়েত করে কোনও প্রকার ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোনও পণ্য বিতরণ করা যাবে না।জেলায় রেডজোন সমূহ এলাকাগুলো হলো- যশোর সদর উপজেলার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ন্ড, আরবপুর, নিউটাউন, অভয়নগর উপজেলার চল্লিশা, পায়রা, বাঘুটিয়া, অভয়নগর পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬, ৯ ওয়ার্ন্ড, চৌগাছা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ন্ড, শার্শা উপজেলার শার্শা, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ন্ড, ঝিকরগাছা পৌরসভার ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ন্ড, কেশবপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ন্ড।
হলুদজোদ সমূহ- যশোর পৌরসভার ৬, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ন্ড, কাশিপুর, ফতেপুর, মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া, ঝাঁপা, কাশিমনগর, অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাঘ, শিরধরপুর, শুভরাড়া, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ন্ড, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি, বাঁকড়া, চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ, বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী, কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর। এছাড়া জেলার ১২১ টি জায়গাকে সবুজ জোন হিসাবে চিহ্নত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, জেলার আটটি উপজেলাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক এবং পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই তিনটি রং দ্বারা বিভাজন করা হয়।
বিভাজনে যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড করোনায় খুব বেশী সংক্রমিত বলে তথ্য রয়েছে, সেগুলোকে ‘রেড জোন’ বা লাল চিহ্নিত এলাকা, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মাঝারী পর্যায়ে সংক্রমিত বলে তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোকে ‘ইয়লো জোন’ বা হলুদ চিহ্নিত এলাকা এবং যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে করোনা একেবারে সংক্রমিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে গ্রিন জোন বা সবুজ চিহ্নিত এলাকা হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে।