এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে ১৫ টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা সর্বস্ব হারিয়ে কনকনে ঠান্ডা এ শীতে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই।২৩ জানুয়ারী’২১ ইং শনিবার দুপুর ২ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পুর্ব বড়ঘোনার ৯ নং ওয়ার্ডের পাতলা বাপের বাড়িতে ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ১৫ বসতঘরের সমস্ত মালামাল ও আসবাবপত্র পুঁড়ে গিয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিকান্ডের সাথে সাথে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুনে পুড়ে যায় ১৫ বসতঘরের সবকিছু। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হলেন,মোজাম্মেল মাঝি, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ টিটু, ওয়াহিদুল্লাহ, সাহাব উদ্দীন, বিলকিছ বেগম, আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ সেলিম, ছৈয়দুর রহমান কালু, আলাউদ্দীন, সালাউদ্দীন, কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আছহাব উদ্দীন, আতিকুর রহমানের বসতঘর।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল মাঝির বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে তা পার্শ্ববর্তী ১৫ বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১৫ বসতঘরের সমস্ত মালামাল পুড়ে গিয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন টিম লিডার লিটন বৈষ্ণব বলেন, ” রাস্তাঘাট অনুন্নত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ১৫ বসতঘর পুড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে অগ্নি নির্বাপক টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও দির্ঘসময় প্রচেস্টা চালিয়েও মাঝপথ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস টিমকে।”অগ্নিকান্ডের পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহা: লেয়াকত আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।এ সময় চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী, মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতুবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।