মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরনখোলা থেকে ভারতে পাচার হওয়ার পাঁচ মাস পর এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১২জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দুপুরে শরণখোলা থানা পুলিশ ওই কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে পাচারকারী চক্রের মুল হোতার বিরুদ্ধে শরনখোলা থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন।
শরণখোলা থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, মোটা বেতনে ভালো চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা মো. তৈয়ব আলী হাওলাদারের স্ত্রী মোসাঃ হাসি বেগম ২০২০ সালের ৪ আগষ্ট উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বসিন্দা মোঃ জাকারিয়া মোল্লার কন্যা রাবেয়া আকতার (১৬) কে ভারতের বেঙ্গালোরে নিয়ে বিক্রি করে দেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে রাবেয়া পালিয়ে গিয়ে ভারতের মারোথারি থানাকে বিস্তারিত জানায়। বেঙ্গালোর পুলিশ কিশোরীকে শেল্টার হোমে রেখে হাসি বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
শেল্টার হোম থেকে বেঙ্গালোর পুলিশ শরণখোলা থানায় যোগাযোগ করে কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যশোরের আন্তর্জাতিক মানবপাচার প্রতিরোধ সংস্থা জাষ্টিস এন্ড কেয়ারের সহায়তায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারী ভারতীয় পুলিশ বেনাপোল বর্ডারে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ ও এনজিও জাষ্টিস এন্ড কেয়ারের প্রতিনিধিদের কাছে রাবেয়াকে হস্তান্তর করেন।
১০ জানুয়ারী রাবেয়াকে শরণখোলা থানায় আনা হয় এবং তার পিতা জাকারিয়া মোল্লা বাদী হয়ে হাসি বেগমের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ সাইদুর রহমান জানান, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে ১২ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দুপুরে জাষ্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে রাবেয়াকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।