১।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। এলিট ফোর্স র্যাবের বিশেষ অভিযান সমূহ দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এ্যালিট ফোর্স র্যাব প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যাবধি চোরাচালান কারীদের বিরুদ্ধে আপোষহীন ও নিরলস গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে চোরাচালান কারীদের গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব এর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত আছে।
২।এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৮/০১/২০২১ তারিখ ১২৩০ ঘটিকায় র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর রামপুরা থানাধীন নতুন বাগ এলাকায় ১ নং লোহার গেইট (খিলগাও ভূতের গলির কাছে) কয়েকজন আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য বিপুল পরিমান সাপের বিষ নিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্য অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল ১৫০০ ঘটিকায় ঘটনাস্থল হতে বাসার নিচে রাস্তার পাশ থেকে হাতবদল করার সময় চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ শফিকুল ইসলাম(৫০), ২। মোঃ জহিরুল হক(৪৯), ৩। মোঃ মজিবুর রহমান(৩৯), ৪। মোঃ দুলাল(৪৮) এবং ৫। মোঃ মোখলেছুর রহমান(৩৮)’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সাপের বিষ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে রক্ষিত কাঠের বক্সের ভিতর তল্লাশী করে ০৬ কাঁচের জারে সর্বমোট ১২ পাউন্ড সাপের বিষের পাওয়া যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৮৫ কোটি টাকা। এছাড়াও তাদের সাথে রক্ষিত সাপের বিষ সংক্রান্ত ০৬ টি টেস্টিং কিট, ০১ টি সাপের বিষের বিদেশী ক্যাটালগ, ০১ টি সিডি এবং ০৭ টি মোবাইলফোন উদ্ধারপূর্বক ০৫ জন আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠির কাছে সাপের বিষের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক মুনাফার লোভে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে সাপের বিষ সংগ্রহ করে চোরাচালান করে আসছে।
৩।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন রামপুরা থানায় মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৪। উদ্ধারকৃত মালামালঃ
ক।সাপের বিষ (মেইড ইন ফ্রান্স) -০৬ টি কাঁচের জার (১২ পাউন্ড)।
খ। সাপের বিষের কিট -০৬ টি।
গ।সাপের বিষের বিদেশী ক্যাটালগ-০১ টি।
ঘ।সিডি -০১ টি।
ঙ।মোবাইল ফোন -০৭ টি।