প্রারম্ভকালে নভেল করোনাভাইরাস(কভিড-১৯)এর সংক্রমনের হার ছিলো দিনে দু-একজন করে।সেখান থেকে প্রথম সংক্রমণের ৭৪তম দিনে এসে দৈনিক সংক্রমণ ঠেকেছে দেড় হাজারের ঘরে।ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকে উঠে আসছে বাংলাদেশ।এশিয়ামহাদেশের ৪৯টি করোনা সংক্রমিত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে ৯ নম্বরে।বৈশ্বিকতালিকায়ও শীর্ষ ৩০-এর ঘরে চলে এসেছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল ঠিক একমাস। মার্চের ৮ তারিখ প্রথম রোগী ধরা পড়ার এক মাস পর (৮ এপ্রিল) দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) রোগীর সংখ্যা ছিল২১৮ জন।পরের এক মাসে (৮ মে)তা গিয়েদাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৩৪ জনে।সংক্রমিত রোগীর এই সংখ্যাটি দ্বিগুণ হতে লেগেছে মাত্র ১২ দিন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী,গতকাল পর্যন্তদেশে করোনা রোগী ছিল ২৬ হাজার ৭৩৮ জন।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, করোনা সংক্রমণে এশিয়ায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক।দেড় লাখের বেশি রোগী আছে দেশটিতে।সোয়া লাখ রোগী নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছে ইরান।তুরস্ক বাইরানের অনেক পরে ভারতে করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হলেও তালিকায় এরই মধ্যে তৃতীয়স্থান দখলে নিয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তমজনসংখ্যার এই দেশটি।যে হারে ভারতে সংক্রমণবাড়ছে,তাতে এশিয়া তো বটেই শীর্ষ আক্রান্ত অনেক দেশকেই টপকে যাবে ভারত—এমন শঙ্কাপ্রকাশ করেছেন ভাইরোলজিস্টরা।এশিয়া মহাদেশে করোনা সংক্রমণের তালিকায় চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে অবস্থান করছে যথাক্রমে চীন, সৌদি আরব ও পাকিস্তান।ছয়ে থাকা পাকিস্তানে রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে।সাতে থাকা কাতারে রোগীর সংখ্যা৩৫ হাজার।২৯ হাজার রোগী নিয়ে তালিকায়বাংলাদেশের ঠিক নাকের ডগায় অবস্থান করছে সিঙ্গাপুর।আর বিশ্ব দরবারে সবার উপরে নাম লিখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।