যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ভাগলপুরে সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয়ার পর এক যুবকের কাছে
৭ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম গত ২ জুন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর প্রতিপক্ষ তার উপর আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
ভাগলপুর গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) চাকরি করি। পাশের শ্যামনগর গ্রামের বাবর আলী তার ছেলেকে
যবিপ্রবিতে চাকরি দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত সিটি ক্যাপের মালিক যশোর শহরের এ কে এম মোছাব্বর হোসেন বিটুর সাথে যোগযোগ করেন। চাকরি দেয়ার জন্য বিটুকে ৭ লাখ টাকা দেন বাবর আলী। টাকা লেনদেনের সময় বাবর আলী আমাকে ডেকে নিয়ে স্বাক্ষী হিসেবে স্ট্যাম্পে সই করতে বলেন। আমি সরল মনে সই করি। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাতিহ হলেও বিটু চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। পরে টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা শুরু করে।
এই ঘটনায় বিটুকে আসামি করে যশোর আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন বাবর আলী। তরিকুল ইসলাম জানান, স্বাক্ষী হয়ে আমি রীতিমতো বিপাকে পড়েছি। আমারে কাছে উল্টো টাকা দাবি করছে বাবর আলী।আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বাবর আলী ও তার পক্ষীয় ক্যাডাররা। একপ্রকার আমাকে জিম্মি করে সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নিয়ে এখন ৭ লাখ টাকা দাবি করছে তারা। তরিকুল ইসলামের অভিযোগ, আমি ব্লাকমেইলের শিকার হচ্ছি। তরিকুলের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান জানান, অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।