1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

রাজাপুরে শীত মৌসুমে অনেক গাছি’র জীবিকা খেজুর গাছের রসেই, রস প্রায় বিলুপ্তির পথে!

  • সময় : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৪

মোঃ নাঈম হাসান ঈমন রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ

মৃদু মৃদু ঠান্ডা হাওয়ায় প্রচন্ড শীতের রাত্রি শেষে শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় সূর্য মামার আলোক রশ্মির রাজাপুরে শীতের আগামনী বার্তা নিয়ে কাপছে প্রকৃতি ঠিক এমন সময়ে এসেও পাওয়া যাচ্ছে না খেজুর রস।তবে সময়ের বিবর্তনে এ উপজেলা থেকে খেজুর গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তি।

হিম হিম শীত শীত,
শীত বুড়ি এলোরে,
কনকনে ঠান্ডায়
দম বুঝি গেলোরে।”

ঝালকাঠি রাজাপুর শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। শীতের ভরা মৌসুম তবে এরইমধ্যে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেজুর গাছের রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন এ অঞ্চলের গাছিরা। শীত এলেই বেড়ে যায় রাজাপুর গাছিদের কর্ম ব্যস্ততা এবং গাছিদের মাঝে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে উঠে নিপুণ হাতে গাছের ছাল তোলা ও নলি বসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আবার কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে রস সংগ্রহের কাজ। উপজেলার প্রায় সব এলাকায় কমবেশি খেজুরের গাছ চোখে পড়লেও তুলনামুলক ভাবে শুক্তাগড় এলাকায় খেজুর গাছ বেশি চোখে দেখা যায়। ওই এলাকার খেজুর রস দিয়ে উপজেলায় চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ হয়। সাধারণত বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ এই ৪ মাস খেজুরগাছ থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। তবে কোন কোন সময় শীত আগে আসলে রস সংগ্রহও শুরু হয় আগেভাগে। এ রস অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানবদেহের উপকারিতার কারণে যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছে। এখনও শীত এলেই শহর থেকে অনেক মানুষ ছুটে যান গ্রামে, খেজুর রস খেতে। রস ছাড়াও গাছিরা এ সময় রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালি তৈরি করেন। খেজুর রসের পাটালি গুড়ের পায়েশ না খেলে যেন শিতের আমেজটায় আসেনা। শীতে রস সংগ্রহের এই চার মাস এলাকার অনেক গাছিই খেজুরের রস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তিরা বলেন, কয়েক বছর আগেও এলাকার বিভিন্ন বাড়ির পাশে, ক্ষেতের আইলে ও রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুরগাছ। এমনকি অনেক স্থানে একাধিক গাছ জন্ম নেওয়ায় সৃষ্টি হয়েছিল দেশি খেজুর বাগান। কিন্তু বর্তমানে ইটের ভাটা ও বিদেশি কাঠ বাগান তৈরি, নতুন করে গাছ নালাগানো। সঠিকভাবে এর পরিচর্যা নাকরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ ইত্যাদি নানা কারণে উপজেলার খেজুরগাছ বিলীন হতে চলেছে। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুরের রস তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে এখন আর দেখা মেলে না শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে রসে বোঝাই হাঁড়ি কাঁধে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ফেরী করার সেই মনরোম দৃশ্য।রাজাপুরের উপজেলার সদর ইউনিয়ন,শুক্তগড়,মঠবারিয়া,গালুয়াসহ অনেক জায়গায় প্রচুর গাছ দেখতে পাওয়া যেত। যা এখন বিলুপ্তির পথে প্রায় । কিছু কিছু গাছ কাটা হলেও কোন একসময় এগুলো ও বিলুপ্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই এখনই যথোপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহন আশু প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তা না হলে অতিশীঘ্রই খেজুরের রস বইয়ের পাতায় আর মানুষের মুখের গল্প হয়ে থাকবে। উপজেলার কৈবর্তখালী এলাকার হেল্লাল প্রতি বছর শীত মৌসুমে তিনি ২৫ থেকে ৩০ টি গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। ওই এলাকার আব্দুল হাই,পান্নু, নুরহোসেন, জালালের মতো অনেকেই মৌসুমি ব্যবসা হিসাবে খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করেন এবং ওই রস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা জানান, বাপ-দাদারাও এক সময় খেজুরের রস সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন।

এখন আমরা করছি। বাপ-দাদার পেশাটাকে এখনও ধরে রাখার চেষ্টা করছি। দিন পর দিন খেজুরের গাছ কমতে থাকায় শঙ্খিত তারা। এলাকার গাছিরা দাবি জানিয়েন সরকারী ভাবে নতুন করে খেজুর গাছ লাগানোর জন্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪