ভোলা সদর উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের ভোলা জেলা আদালত ভবনের সামনে থেকে মিল ঘর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৩৫/৪০ হাজার মানুষের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার পথচারী, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এই সড়কে জেলা জজ আদালতের মত একটি গুরুত্ব পূর্ন স্থাপনা থাকলেও সড়কটি রয়েছে অবহেলিত।
এই জরাজির্ন সড়কে আরো রয়েছে ফজিলাতুননেছা সরকারী মহিলা কলেজ।ফজিলাতুননেছা সরকারী মহিলা কলেজ ও সরকারী গার্লস স্কুলের হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে এই সড়কে।এই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণ হানীর মত দুর্ঘটনাও। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো এই রাস্তাটি প্রায়ই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।
রাস্তাটির কারণে এলাকাবাসীর জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।এই সড়কের প্রায় ৫০/৬০ ভাগ যায়গাই নষ্ট হয়েগিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটিতে কোন সংস্কারের কাজ হয় নাই। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার করণের দাবি এলাকাবাসীর থাকলেও তাদের ডাকে সাড়া দেননি কোন জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কেউ। সংস্কারের বালাই নেই বলে রাস্তাটি এখন এলাগাবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ধনিয়া, গোটাউন,তুলাতুলি, নাছির মাঝি, মাঝের চর সহ প্রায় ১৫-২০ গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। সাইকেল, মোটরসাইকেল বা রিক্সা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করা বিপদজনক হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একজন বলেন, রাস্তা দেখলে মনে হয় এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ঘড়-বাড়ি বানাই। তিনি বলেন, প্রায় অনেকদিন যাবত এই রাস্তাটি জনদুর্ভোগের কারন হয়ে রয়েছে কিন্তু কখনো দেখিনি কোন জনপ্রতিনিধিকে রাস্তা সংষ্কারের ব্যাপারে কথা বলতে। তিনি খুব আক্ষেপের সাথে বলেন, জননেত্রী শেখহাসিনার শাসনামলে ভোলায় এত উন্নয়ন হয়েছে যা ভোলার মানুষ কখনোই ভুলবে না।
যে ভোলার গ্রাম গঞ্জের কোথাও কোন কাঁচা রাস্তা নেই।সেখানা সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী বর্তমান এমপি তোফায়েল আহমেদের মত বিজ্ঞ জনের বাড়ির রাস্তাটি কেন এতটা অবহেলিত। আমরা কেন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।তিনি বলেন এই রাস্তার নাম শুনলেই অনেক রিক্সা বা গাড়ি যেতে চায়না।আমাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ের জন্য দেখতে আসলে আমরা এই রাস্তার জন্য লজ্জিত হচ্ছি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি খানাখন্দ সহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাহাবুদ্দিন মিয়া জামে মসজিদ থেকে মিলঘর পর্যন্ত।