একজন চেয়ারম্যান খুন করলে কিছুই হয় না, আর সামান্য কয়েকটা চাল চুরি করছি এতে আর কী হবে-প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ভিজিডির চাল আত্মসাতে অভিযুক্ত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল আহম্মেদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আলীপুরা ইউনিয়নের শ্লুইজ বাজার এলাকায় জনসম্মুখে এমন কথা বলেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাহাউদ্দিন মিয়া। এর আগে রোববার ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর ৬১৫ জন ভুক্তভোগীর ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের ভিজিডির চাল আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন ইউপি সদস্য। এ ছাড়া বুধবার চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় জনসাধারণ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ইউপি সদস্য মো. বাহাউদ্দিন মিয়া জানান, ‘আমাদের লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভ মিছিলের পর চেয়ারম্যান জনসম্মুখে এমন মন্তব্য করেছেন।তিনি আরও বলেন, ‘আলীপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সালের ভাই কাদের মুন্সি চাল আত্মসাতের ঘটনা মীমাংসার জন্য পাঁয়তারা করছেন। চেয়ারম্যান তার ভাই কাদের মুন্সিকে দিয়ে আমাকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বহুবার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাদশা চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, ‘‘আপনি কী চান। আপনি চুপ থাকেন। আপনি অফ থাকেন। আপনাকে যেটা দেওয়ার আমি দিয়ে দেই।’’ কিন্তু আমি আপসে রাজি হইনি। আমি আত্মসাতকৃত জনগণের চাল ফেরত দিতে বলেছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র। সকল অভিযোগই ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, তিনি অসুস্থ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান বাদশার সঙ্গে তার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।