ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিখোঁজের চারদিন পর শালিসি সভা থেকে এক স্কুলছাত্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বাড়িখলা গ্রামের ওই কিশোরী লাউর ফতেহপুর আর.এন.টি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।গত ৮ জুন সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সে।দিন পেরুলেও বাড়ীতে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। প্রতিবেশীদের বাড়ী সহ সম্ভাব্য সব স্থানে তার খোঁজ-খবর না পেয়ে ১০ জুন নবীনগর থানায় একটি জিডি করে পরিবার।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একই উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।কিন্তুু অভিযানের খবর পেয়ে মেয়েটিকে নিয়ে সটকে পরে রিয়াদুল ইসলাম শান্ত (২০) নামের অভিযুক্ত যুবক।পরে গত ১২জুন শুক্রবার বিকেলে নবীনগর পৌর এলাকার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের সামনে থেকে ওই কিশোরী স্কুলছাত্রী সহ তথাকথিত অপহরণকারী প্রেমিককে আটক করে পুলিশ!
অভিযুক্ত যুবকের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়,ঘটনাটি একটি কিশোর প্রেমের উপাখ্যান।ওই স্কুলছাত্রী কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত ছেলেটির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে,এবং পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় কিশোরী মেয়েটি সেচ্ছায় বিয়ের আশ্বাসে তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে।
কিন্তুু তাদের অবাধ্য প্রেমের স্বীকৃতি না দিয়ে ওই কিশোরীর মা তার প্রেমিকের নামে অপহরণ, ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় এ ঘটনায় রিয়াদুল ইসলাম শান্ত নামে ওই প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, লাউর – ফতেহপুর আর.এন.টি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ৮ জুন সকালে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়, কিশোরীর পরিবার ১০ জুন নবীনগর থানায় একটি জিডি করেন।পুলিশ জিডিতে উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জুন শুক্রবার বিকেলে নবীনগর পৌর এলাকার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের সামনে থেকে তাদের দুজনকে আটক করে।
এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক পারভেজ হোসাইন জানান, গতকাল ১২ জুন শুক্রবার ছেলে এবং মেয়ের উভয় পক্ষের পরিবার আমার কাছে আসে বিষয়টি মিমাংসা করে দিতে।পরে আমি তাদের নিয়ে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে বসলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ওই ছাত্রীর বাবা বিদেশে অবস্থান করায় এই ঘটনায় তার মা শিল্পী বেগম সাংবাদিকদের কাছে মামলা করবেন না বললেও পরে তিনি রহস্য জনক কারনে বাদি হয়ে আবার শনিবার সকালে নবীনগর থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, এই ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নবীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। আটক রিয়াদুল ইসলাম শান্তকে আদালতে ও ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।