1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

সাভারে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, থানায় অভিযোগ দায়ের

  • সময় : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
  • ৪০৮

রাজধানীর সন্নিকটে সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা এবং সাথে থাকা নগদ আশি হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ী সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধী। এঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর ছোট ভাই সুমন আহম্মেদ খাঁন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এর আগে বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মোল্লা মার্কেট সংলগ্ন মডেল টাউনের মধ্যকার রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ীর নাম মোঃ মোঃ রহিম আহম্মেদ খাঁন (৩৫)।

সে সাভার পৌর এলাকার মধ্যগেন্ডা মাঝিরমোড় মহল্লার মোঃ আব্দুস শহিদ খানের বড় ছেলে।লিখিত অভিযোগে আহত ব্যবসায়ীর ছোট ভাই মোঃ সুমন আহম্মেদ খাঁন উল্লেখ করেছেন, আমি নিজেও ব্যবসা করি। বেশ কিছুদিন ধরে গেন্ডা এলাকার মৃত মালু মিয়ার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ আমিনুর রহমান (৪৫) আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো।

কিন্তু আমি দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করায় বিভিন্ন সময়ে সে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করে।এর মধ্যে বুধবার (১০ জুন) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে বড় ভাই মোঃ রহিম আহম্মেদ খাঁন ও ছোট ভাই রাসেল আহম্মেদ খাঁনকে সাথে নিয়ে গেন্ডা মোল্লা মার্কেট সংলগ্ন মডেল টাউনের মধ্যকার রাস্তায় পৌছলে পুর্ব পরিপরিকল্পিভাবে উল্লেখিত সন্ত্রাসী আমিনুলের নেতৃত্বে তার সহযোগী ইমন (২৫), ফয়সাল (২৩), সজিবসহ (২০) অজ্ঞাতনামা ৭-৮জন ধারালো চাপাতি, রামদা ও লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের গতিরোধ করে।

এসময় আমিনুল বলে কুত্তার বাচ্চাদের চাঁদা দিতে বলেছিলাম কিন্তু ওরা চাঁদা দেয়নি তাই ওদেরকে খুন করিয়া চাঁদা না দেয়ার মজা বুঝাইয়া দে। পরে তার হুকুমে অন্য সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে এলোপাথারি মারধর করতে থাকে।জীবন বাঁচাতে আমি ও ছোট ভাই রাসেল দৌড়ে পালাতে পারলেও সন্ত্রাসী ইমন ও ফয়সাল আমার ভাই রহিমকে ঝাপটে ধরে এবং তাদের নেতা আমিনুর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া আমার বড় ভাইকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।তাদের মারধরে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তারা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বেধরক মারধর করতে থাকে।

একপর্যায়ে আমার ভাই নিস্তেজ হয়ে গেলে সন্ত্রাসী সজিব আমার বড় ভাইয়ের প্যান্টের পকেট থেকে নগদ আশি হাজার টাকা লুটে নেয় এবং ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানালে আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমার বড় ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কিন্তু তাহার অবস্থা গুরুতর হওয়া তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত সমস্যরা কারনে আমরা ঢাকা না গিয়ে বড় ভাইকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজহ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সে হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।এব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বলেন, গেন্ডা এলাকায় মারামারির ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং আমাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে আমি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে এখনও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪