স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট খাতা জমা দেয়া হলোনা সামিয়া খাতুন শেফার (১৩)। পথিমধ্যে ইটভাটার ট্রাক কেড়ে নিয়েছে তার জীবন প্রদীপ। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর- শার্শা সড়কের খাজুরা এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শেফাসহ তার বহনকারী ভ্যান চালকও নিহত হয়েছে। নিহত শেফা শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের মেয়ে। সে বুরুজবাগান পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। আর ভ্যান চালক আবু হানিফ (৪০) একই গ্রামের নছুর উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় নিহত শেফার দুই সহপাঠি গুরুতর আহত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা হলো জ্যোতি (১৩) ও অহনা খাতুন (১৪)।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে অ্যাসাইনমেন্ট খাতা জমা দেয়ার জন্যে ভ্যানযোগে স্কুলে যাচ্ছিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া শেফা, জ্যোতি ও অহনা। তাদের বহনকৃত ভ্যানটি খাজুরা এলাকায় গেলে সামনে থেকে আসা ইটভাটার ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় শেফা। স্থানীয় র লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানকার চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানিয়েছেন, বেলা ১১ টার দিকে আহত তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় আনার পর ভর্তি করে সার্জারী ওয়ার্ডে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসক আবু হানিফ নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক এনকে আলম জানান, মাথা ও বুকসহ শরীররের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগার কারণে আবু হানিফের মৃত্যু হতে পারে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। আহত জ্যোতি ও অহনা শঙ্কামুক্ত নয়।
হাসপাতাল মর্গে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে নিহত আবু হানিফের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নাভারন হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিটু নাথ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক আটক করা হয়েছে। কিন্তু চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।