আজ ২০ মে বেলা ১২ টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ৬০০ অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে তুলে দিলো ঈদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
এই সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্মল রন্জন গুহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৬ কোটি অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ ত্রান সহযোগীতা পাচ্ছেন। সরকারের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে।পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন।ফলে সারাদেশের অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশা অনেকটা কমে গেছে।তিনি আরো বলেন, এই মহা দুর্যোগ কালীন মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীগন অসহায় মানুষের পাশে থাকবে ।
বিশেষ অতিথি আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আমরা অসহায় মানুষকে ত্রাণ এবং অন্যন্য সহযোগিতা দিচ্ছি , সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য এটা একটা ম্যাসেজ, এই কার্যক্রম বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ দেখছেন এবং তারাও উৎসাহিত হচ্ছেন।সরকারের সহযোগিতা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের নিজস্ব উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ত্রাণ দিচ্ছে, ধানকেটে কৃষকক সহযোগিতা করছে, ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও টেলি হেলথ কল সেন্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে ।আমাদের বক্তব্য হলো আমরা দিচ্ছি তোমরাও অল্প অল্প করে দাও।তাতে গোটাদেশের মানুষ কিছু না কিছু পাচ্ছে, উপকৃত হচ্ছে। আমি মনেকরি এটাই চাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ।
সভাপতির বক্তৃতায় রিপন বলেন, করোনা ভাইরাসের মহাপ্রাদুর্ভাবে দেশে মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আজ দিশেহারা, দিন দিন অসহায় হয়ে পড়েছে। আমার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের কারনে ৬ শত পরিবার কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।এর ফলে নগরের আমাদের অন্যান্য ইউনিটগুলো উৎসাহিত হবে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে ।
ত্রানকার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, নাফিউল করিম নাফা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ।