দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারা-চট্টগ্রাম সড়কের(আরাকান সড়ক) আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবি দিঘী সংলগ্ন শোলকাটা রাস্তার মাথা এলাকায় গরুবাহী একটি ট্রাকের সাথে যাত্রিবাহী একটি সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক মোহাম্মদ হানিফ(৬৫) মৃত্যুবরন করে এবং সিএনজি’র ৩ জন যাত্রি গুরুতরভাবে আহত হয়।
২৯ অক্টোবর’২০ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার সময় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিএনজি চালকের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ চৌমুহনী রওজা পাড়া। গুরুতর আহত তিন জনকে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহতরা হলেন- আনোয়ারার চুন্নাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভ্যান চালক সফিকুর রহমান (৪৮), তৈলারদ্বীপের ছানোয়ার (৩২) ও শিশু স্বরণী বড়ুয়া (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালীর চৌমুহনী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়ার পথে উত্তরবঙ্গ থেকে গরুবোঝাই একটি ট্রাক আনোয়ারা সরকার হাট আসার পথে আরাকান সড়কের আনোয়ারা শোলকাটা নামক স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক হানিফ(৬৫) মারা যান এবং সিএনজিটি ধুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে পাঠান।
আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মো. দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সিএনজি চালক হানিফের মৃত্যুতে বাঁশখালী তার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতমের পাশাপাশি পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুকুরিয়া চৌমুহনী সিএনজি চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। নিহত হানিফ অত্যন্ত ভাল এবং অমায়িক মানুষ ছিলেন। সে ৪ ছেলে ৩ মেয়ের জনক। পরিবারে সে ছাড়া উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। নিহত হানিফকে বাদে জোহর নামাজা জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে