চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল নাপোড়া পাহাড়ি এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী নির্মমভাবে গনধর্ষণের শিকার হয়েছে। অমানবিক ও নৃশংস এ ঘটনার ধর্ষণের মূল হোতা একজন ধর্ষককে জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাঁছে হস্তান্তর করেছে। অপর ধর্ষককে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। ধর্ষিতা কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
২৬ অক্টোবর’২০ ইং সোমবার রাতে সংঘটিত নির্মম এ ঘটনার কিশোরীটির বাড়ি চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের পূর্ব বড় ভেউলা গ্রামে। ধর্ষিতা কিশোরীর বিধবা মা বাদী হয়ে ২৭ অক্টোবর’২০ ইং দুজনকে আসামী করে বাঁশখালী থানায় ধর্ষনের অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক ধর্ষক হচ্ছেন, ছনুয়ার ইউনিয়নের মৃত নুর আহমদের পুত্র আবুল বশর(৪৫) ও অপর ধর্ষক হচ্ছেন পুইঁছড়ি ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের পুত্র মো. জমির(৩৫)। বর্তমানে দু’জনই বাঁশখালী থানা পুলিশের হাতে আটক রয়েছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের পূর্ব বড় ভেউলা গ্রামের এক বিধবার সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার কিশোরী মেয়েকে ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের আবুল বশর গত ১৮ অক্টোবর’২০ ইং চট্টগ্রাম শহরে মহিউদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে দেয়।
পরবর্তীতে জনৈক আবুল বশর মেয়েটিকে কাজে না রাখায় ২৬ অক্টোবর’২০ ইং সোমবার চট্টগ্রাম শহর থেকে কিশোরীটিকে আনতে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ার কথা বলে সোমবার রাত ১১টার দিকে পুঁইছড়ি হাব্বান আলী রোড দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাস্তার নির্জন স্থানে পৌঁছলে ধর্ষক ছনুয়ার আবুল বশর ও তার অপর সহযোগী পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র মো. জমির এ কিশোরীকে একজন মুখ ও শরীর চেপে ধরে অপরজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করে তাদের বাবা ডেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেও রেহাই পায়নি। পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষনের এক পর্যায়ে গূরতর অবস্থায় রাস্তা দিয়ে টেনে-হেঁছড়ে জঙ্গলের ভিতর নেওয়ার সময় কিশেরিীটির আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আবুল বশরকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতেই বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক দীপক কুমার সিংহের নেতৃত্বে পুলিশের চৌকশ একটি টীম অভিযান চালিয়ে জঙ্গল নাপোড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপর ধর্ষক মো. জমিরকে আটক করে। ২৭ অক্টোবর’২০ ইং মঙ্গলবার কিশোরীটিকে চমেকের ওয়ার স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে আটক দুই ধর্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রেজাউল করিম মজুমদার বলেন,
“ পুঁইছড়ী ইউনিয়নে এক কিশোরী গনধর্ষনের ঘটনা শুনার সাথে সাথে আটক আবুল বশরের দেওয়া তথ্যমতে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে অপর অভিযুক্ত মো. জমিরকেও আটক করেছি আমরা, তাদের বিরোদ্ধে নিয়মিত মামলা রজু করা হয়েছে।