রাজধানীর সন্নিকটে সাভার পৌরসভার নামাবাজার এলাকায় নিজ গৃহে এক গামেন্টস শ্রমিক (লাকী) ধর্ষণের হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা ওই নারী মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার সামসুল মিয়ার মেয়ে এবং আশুলিয়ার খাগানের কাজল গামেন্টস শ্রমিক।
রবিবার (২৫ অক্টোবর ২০২০) দিবাগত রাতে পৌর-এলাকার নামাবাজার কাঠপট্টি কাজির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, বাবা-মা সাথে থাকলে মাস কয়েক আগে বাবা-মা দেশের বাড়ি মানিকগঞ্জ চলে যাওয়ায় পৌর-এলাকার নামাবাজার কাঠপট্টির কাজির বাড়ির একটি রুম নিয়ে একাই ভাড়া থাকতেন ওই নারী। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে গামেন্টস ছুটির পর বাসায় ফিরেন ওই নারী। রাতের খাবার শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে রাত ১১.০০ টার পর ঘুমাতে যান তিনি। পরে রাত ৩.০০ টার দিকে ঘরে অজ্ঞাত এক ধর্ষক কর্তৃক ধষিত হন। এসময় ধর্ষিতা নারীর চিৎকার করতে চাইলে ধর্ষক নারীর মুখে ও গলায় গামছা ও বিদুৎতের মোটা ক্যাবল তার চেপে পেচিয়ে ধরে। একপর্যায়ে ধর্ষিতা নারী চিৎকারে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা বেরিয়ে আসবার পূবেই ধর্ষক পালিয়ে গেলেও আলামত হিসেবে গামছা ও ক্যাবল তার ফেলে রেখে যায়। এদিকে ঘটনার আকস্কিতায় ধর্ষিতা ওই নারী মানসিকভাবে ভীত ও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও জানান তারা।
এদিকে মেয়ের ধর্ষণের খবর পেয়ে সকালে মানিকগঞ্জ থেকে ধর্ষিতার পিতা সামসুল মিয়া বাসায় এসে মেয়েকে নিকটস্থ সাভার আড়াপাড়ায় বড় মেয়ের বাসায় নিয়ে যান। পরে রবিবার সন্ধ্যার পর মেয়ের ধর্ষণের ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবিতে সাভার মডেল থানার দারস্থ হন।
ধর্ষিতার পিতা সামসুল মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়ে ধর্ষককে চিনতে না পারলেও ধর্ষকের মুখে দাড়ি ও হাতে আংটি ছিলো বলে জানিয়েছেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান।
সাভার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, এক নারীকে নিয়ে তার পিতা রাতে থানায় এসেছেন। তারা জানিয়েছেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।