গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ধলাদিয়া এলাকায় এক কিশোরী ছাত্রীকে (১৩) আড়াই মাস ধরে একটি কক্ষে আটকে রেখে এক মাদ্রাসাশিক্ষক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে র্যাবের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার এবং কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-১ এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মাদ্রাসাশিক্ষক আসাদুজ্জামান (৩৫) খুলনার কসবা থানার উত্তর বেতকাশি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসাদুজ্জামানকে আটক করা হয়। তখন তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধলাদিয়া এলাকার তালাবদ্ধ রুম থেকে কিশোরী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২ আগস্ট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার ভাড়াটিয়া হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী ছাত্রীকে ধলাদিয়া মাদ্রাসায় কমখরচে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে যান আসাদুজ্জামান। পরে তাকে ভর্তি না করে ওই এলাকার তার ভাড়া বাসার একটি কক্ষে বন্দি করে রাখে। তখন থেকে ওই ছাত্রীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন আসাদুজ্জামান। সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তিনি।
বিভিন্ন সময় ছাত্রীর বাবা শিক্ষক আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে মেয়ের খোঁজখবর জানতে চান। তখন আসাদুজ্জামান মেয়ে ভালো আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত আছে বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে বাবার সন্দেহ হলে ধলাদিয়া মাদ্রাসায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন- তার মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি না করে ওই শিক্ষক ধলাদিয়া এলাকার একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন। পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের কাছে সাহায্য চান বাবা।