1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

মাথাপিছু জিডিপি’তে ভারতকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩১৫

চলতি বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি’র আকার বাড়তে পারে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি’র তুলনায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। আইএমএফ বলছে, ২০২০ সালে গভীর মন্দায় পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। এ মন্দা ১৯৩০ সালের চেয়েও ভয়াবহ বলে জানায় আইএমএফ। মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ২৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে বলে জানায় ঋণদাতা সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালে মাথাপিছু জিডিপি’র দিক দিয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ভারতের মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮শ’ ৭৭ ডলার, যেখানে বাংলাদেশের ১ হাজার ৮শ’ ৮৮ ডলার।

আইএমএফ বলছে, করোনা মহামারীর কারণে ভারতের অর্থনীতি এতোটাই বিপর্যস্ত যে, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতকে টেক্কা দিতে পারে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এমনকি মালদ্বীপ।

বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা এতোটাই বিপর্যস্ত যে, একমাত্র করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারলেই অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে প্রায় সাড় ৪ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শত বছরের মধ্যে এতো ভয়াবহ বিপর্যয় হয়তো বিশ্ব অর্থনীতিতে আসেনি। জি টুয়েন্টি সদস্য উন্নত দেশগুলো আরো ৬ মাস ঋণ পরিশোধ মওকুফ করেছে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য। সময় বাড়ানো হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যেও। এরপরও সারা বিশ্বের মাথাপিছু ঋণ মোট জিডিপির প্রবৃদ্ধির ১শ’ শতাংশে পৌঁছাবে আগামী বছরই।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তা কাটিয়ে উঠতে আগামী ৫ বছরে ২৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি প্রয়োজন পড়তে পারে। বিশ্ব অর্থনীতি শিখে নিয়েছে কিভাবে ভাইরাসের সাথেই বাস করতে হবে। অর্থনীতি স্বাভাবিক তখনই হবে, যদি মহামারীকে আমরা পরাজিত করতে পারি। এই সময়ের মধ্যে ব্যাংক দেউলিয় হচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। মাথাপিছু ঋণের বোঝাও এখন সব দেশের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। সব দেশের সরকারকেই বলছি, যতোটুকু পারবেন, করুন। যেটা জরুরি সেটা করুন, কিন্তু মানুষকে অসচ্ছল অবস্থায় ফেলবেন না।

সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ জানান, চীন ছাড়া প্রায় সব দেশের প্রবৃদ্ধি চলতি বছর নেতিবাচক হবে। তবে ২০২১ সালে সারা বিশ্বের ৫ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি হবে বলেও পূর্বাভাস দেয় সংস্থাটি। গীতা গোপিনাথ বলেন, দেশিয় বা আন্তর্জতিক, দুই দিক থেকেই এই মন্দা মহামন্দার থেকেও ভয়াবহ। এ মহামারী বিশ্ব অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব খাতকেই অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে। মহামারী চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। দেশে দেশে বৈষম্য বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ, নারী আর তরুণরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দরিদ্র দেশগুলোর তো ভবিষ্যতই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। সবার আগে স্বাস্থ্যখাতকে স্থির অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে।

আইএমএফ বলছে, চলতি বছর ভারত প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেলেও ২০২১ সালেই প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে দেশটির। যেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪