সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সারাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে স্থবিরতা বিরাজ করছিল, ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সংস্কৃতি চর্চা সে স্থবিরতাকে কিছুটা হলেও দূর করেছে। যেহেতু, করোনা মহামারি দীর্ঘমেয়াদী এবং করোনায় নিম্ন মৃত্যুহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দেশ, সেকারণে সময় এসেছে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করার।’
করোনার কারণে অনেকেই আজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আর জাতির মানসিক বিকাশ ও মনন গঠনের অন্যতম মাধ্যম সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা। সেজন্য সারাদেশে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মনে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করার জন্য তিনি সংস্কৃতিকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকেলে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে দেশব্যাপী অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণী এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কালচারাল অফিসার জ্যোতি সিনহা।
প্রধান অতিথি বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল সংস্কৃতি চর্চার তীর্থভূমি। এ অঞ্চলে জন্মেছেন দেশবরেণ্য বহু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া এ অঞ্চলে রয়েছে বর্ণিল ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতির ধারক বেশ কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস।
কে এম খালিদ বলেন, অর্থ সংকট সংস্কৃতি চর্চায় অন্যতম বাধা। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হল ভাড়ার জন্য সংস্কৃতি চর্চা যেন থেমে না থাকে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় হল বরাদ্দের ক্ষেত্রে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন যেন সমান সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এরআগে প্রতিমন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ এবং কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ‘মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউজ ও ডরমিটরি বিল্ডিং নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।