স্টাফ রিপোর্টার-
সদ্য শেষ হওয়া গ্রন্থমেলায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা দু’টি বই বিক্রি ব্যাপক সারা ফেলে। পাশাপাশি বিক্রিতে শীর্ষে ছিল। এরমধ্যে একটি ‘মাদকের সাতসতেরো’ অপরটি হলো ‘কিশোর গ্যাং- কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’।
বই দু’টি মেলায় আসার পাঁচদিনের মধ্যে প্রথম সংস্করণের দুই হাজার করে মোট চার হাজার বই বিক্রি হয়ে যায়। পরে দ্বিতীয় সংস্করণের প্রায় সব বই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন তৃতীয় সংস্করণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বই দু’টির প্রকাশনী সংস্থা ‘কবি প্রকাশনী’। রবিবার এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি
বইয়ের উদ্বোধন করেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। পরেরদিন (২১শে ফেব্রুয়ারি) মেলায় কবি প্রকাশনীর স্টলে বই বিক্রি শুরু হয়। প্রথমদিন থেকেই ব্যাপক সারা ফেলে বই দু’টি। দেশি-বিদেশি অনেক লেখক ও পাঠক এগুলো সংগ্রহ করেন।
কর্মক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সচেতনতামূলক দুটি বই লিখেছেন মঈন। কারণ, কিশোর গ্যাং ও মাদক বর্তমানে সমাজে প্রধান দু’টি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কবি প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে, বই দু’টি প্রথম সংস্করণে দুই হাজার করে মোট চার হাজার কপি মেলায় আনা হয়। প্রথম পাঁচদিনেই তা বিক্রি হয়ে যায়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় পরে দ্বিতীয় সংস্করণে আবারও চারহাজার প্রকাশিত হয়। সেগুলোও শেষের দিকে। গতকাল মেলার শেষ দিনে একজন ব্যক্তি চারশ বই কেনেন। তিনি এগুলো বিভিন্ন লাইব্রেরি ও প্রতিষ্ঠানে দিবেন বলে জানান।
কবি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী সজল আহমেদ জানান, চলতি বছর মেলায় নতুন লেখকের অনেকগুলো বই আমাদের প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে কমান্ডার মঈনের দু’টি বই ছিল। সব বইয়ের মধ্যে এই দু’টি বিক্রির শীর্ষে ছিল। এখনও অনেকে অনলাইনে অর্ডার করছেন। সমসাময়িক বিষয় হওয়ায় বইদুটি র চাহিদা বেশি। এখন আমরা তৃতীয় সংস্করণে হাত দিবো।
২০২১ সালের মার্চে ১১তম মুখপাত্র হন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সেসময় তিনি র্যাবের কমিউনিকেশন উইংয়ের পরিচালক ছিলেন। মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মঈন ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জঙ্গি, চরমপন্থি, সন্ত্রাসবিরোধী বিভিন্ন অপারেশনে প্রশংসনীয় অবদান রাখেন। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুইবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পান।