1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে অপহরন! কষ্টিপাথর পাচারকারী সিন্ডিকেটের ৭ জন গ্রেফতার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে সাধারণ রোগীদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে নিজের চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে  টাঙ্গাইল কমিউটারের ৫ বগি লাইনচ্যুত, আহত অর্ধশতাধিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে বন্যার শঙ্কা রয়েছে-প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ইসির

“নব যৌবন এবং আমাদের সংস্কৃতি “

  • সময় : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৩

কবি_ নিলয় চৌধুরী।

স্থায়ী শান্তির জন্য শিক্ষা ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালের ২৪ জানুয়ারী শিক্ষা দিবস পালন শুরু করে। যেখানে স্বাধীনতার ঠিক পরেই আমাদের শিক্ষার হার ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। শুনতে ভালো, পড়তে ভালো কিন্তু আসল কথা হলো সত্যিই কি আমরা জাতি হিসেবে শিক্ষিত হতে পেরেছি?শিক্ষার যে আলো তার বহিঃপ্রকাশ কি আমাদের সমাজ জীবনে আমাদের সংস্কৃতি পরিমন্ডলে প্রকাশিত হচ্ছে? শিক্ষা মানেই তো মন মননের বিকাশ, বোধের বিকাশ এবং তার সুন্দর প্রকাশ।কালের নিয়মে মানুষ তার আর্ত সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটায় আর তা সত্য এবং স্বাভাবিক।সেই পরিক্রমায় রেডিও টিভি থেকে এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন।এক কথায়_ জানার জন্য পৃথিবীটা আজ মুঠোবন্দী । এতো আধুনিকতার মধ্যে থেকেও পৃথিবীর সব জাতি সগর্বে নিজ নিজ সংস্কৃতি রক্ষা করছে এবং সকলের নিত্য চেষ্টা নিজ সংস্কৃতির বিকাশ।আমরা কি আমাদের নিজ সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারছি নাকি আমাদের নতুন যৌবন ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ছে ভিন্ন সংস্কৃতি চর্চায়? এটাই এখন বাঙালি হিসেবে আমাদের ভাবার সময়। ভাষার আগ্রাসন শুরু হয়েছে অনেক আগেই। বাংলা ভাষী স্কুল ছাত্রদের থেকে ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের ছাত্রের কদর বেশি। অভিভাবকদের একটা আভিজাত্যের প্রকাশও যেন ঐ সব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করানো।ধীর ক্রমে ভাষার চর্চা কমে যাচ্ছে আর সাথে সাথে সংস্কৃতি চর্চাও। বাউল, জারি সারি, ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া, কবিতা গল্প নাটক বিতর্ক সভার আয়োজন এখন খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে।অথচ যখন এইদেশে শিক্ষিতের হার এতটা ছিল না তখন সমাজ জীবনে এর প্রচলন ছিল বেশ। সমাজে এতো ভেদাভেদ এতো বিদ্বেষ ছিল না। ছিল না এতো সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ এতো হানাহানি।তবে তো প্রশ্ন আসে মনে, এই কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে আমাদের আগামী !যাদের কাছে নিজ সংস্কৃতি কদর পাচ্ছে না। তাদের কন্ঠে এখন কেন চটুল হিন্দি গান বা ইংরেজি গানের সুর! আসলেই ভাবতে হবে আমাদের। নাহয় অনাদরে অবহেলায় ধীরে ধীরে মুছে যাবে আমাদের সংস্কৃতি। বাঙালি জাতি হিসেবে যে সংস্কৃতি আমাদের অসাম্প্রদায়িক সমাজে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছিলো সেই চিন্তা চেতনার সংস্কৃতির বিকাশ করতে হবে। বাড়াতে হবে আমাদের অতীত গরিমার সেই নিজ সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন তা রাষ্ট্রীয় স্তরে এবং সামাজিক ভাবেও।তবেই আমরা নতুন যৌবনকে দিতে পারবো আমাদের আপন সংস্কৃতিতে বিকাশের সুযোগ আর নিজ সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠার গৌরব।নিজ সংস্কৃতিতে বেঁচে থাকার, খুশি থাকার ,সুখী থাকার গৌরব।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪