মানিকছড়ি-রামগড় সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এলজি, কার্তুজ, মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির রশিদ, নগদ টাকা ও উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদিসহ ৩ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ মরাকয়লা, লিপিপাড়া, থলিবাড়ি, নাভাঙ্গা ও গরু কাটা এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) প্রসীত খীসার সশস্ত্র গ্রুপ আধিপত্য বিরাজ করে জনপদে নানা অপকর্ম করে আসছিল।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার পর গোপন সংবাদে ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ওয়ালি উল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে গেলে রামগড়ের পাতাছড়া ইউপি’র গরু কাটা এলাকায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী অনিল চাকমার ঘরে হানা দিয়ে ৩ উপজাতী যুবক ১। রকি ত্রিপুরা((২০), পিতা- সবি কুমার ত্রিপুরা, জরিচন্দ্র পাড়া, রামগড়। ২। জুয়েল ত্রিপুরা(২৩), পিতা- দুলা ত্রিপুরা, রাজেন্দ্র কার্বারীঢপাড়া, দীঘিনালা। ৩। সাথোঅং মারমা (৩০), পিতা- উলাঅং মারমা, দেওয়ান পাড়া, গুইমারাকে ১টি এলজি, ২টি কার্তুজ, ৮টি মোবাইল ফোন, ১৬টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, নগদ ৩২ হাজার ৫শত ৬০ টাকা, ৩টি জমির দলীল, ইউপিডিএফ এর আয়-ব্যয়ের ৯টি রশিদ বই, সংগঠনের নীতিমালা বই ৬টিসহ হাতে-নাতে তাদের আটক করা হয়।
৭ অক্টোবর দুপুরে আটককৃত সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত সকল মালামালসহ প্রথমে মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে এসে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মালামাল এবং সন্ত্রাসী আটকের বিবরণ তুলে ধরেন ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ওয়ালি উল্লাহ। এ সময় মানিকছড়ি থানার এস.আই সাজু বড়ুয়াসহ অন্যান্য সেনা অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। পরে আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত মালামাল রামগড় থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ মো: শামসুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের নামে অস্ত্র ও চাঁদাবাজী আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।