ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে একটি বনের ভেতরে দুলালী(২৭) নামের এক নারীকে হত্যার ঘটনায় আসামি মহব্বত আলী(৩২)’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত মহব্বত আলী(৩২) সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে।
নিহত দুলালী (২৭) শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত আলিম উদ্দীনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানায়, গত ২ তিন মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামী মহব্বত আলীল সাথে নিহত দুলালীর একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। গত ২৮ মে নিহত সেই নারীকে নিয়ে মহব্বত আলী ঘুড়তে যায় নারগুন কহরপাড়া গ্রামের সেই বনে। এক পর্যায়ে নিহত নারী দুলালী আসামী মহব্বতকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গলা চেপে শ্ববাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে পায়। পরে রাস্তার পাশ থেকে একটি কোদাল নিয়ে গিয়ে দুলালীর মরদেহ মাটিতে পুতে দেয়।
তিনি আরো জানান,ঘটনার পর থেকেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি অপারেশন নাজমুল সহ সঙ্গীয় ফোর্স এই মামলায় তদন্ত শুরু করে। পরে দুলালীর ফোন রেকর্ড সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে গত ৬ জুন শনিবার ভোর রাতে মহব্বতের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্তি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম,তদন্ত গোলাম মর্তুজা সহ বিভিন্ন প্রিন্টও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য:গত ১জুন বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের বন থেকে দুলালী (২৫) এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।