ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউটের আইসোলেশন সেন্টার থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী কেফায়েত উল্লাহ (৩৮) পালিয়ে গেছেন। তিনি জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামের মৃত আনোয়ারুজ্জামানের পুত্র। সোমবার (৮.৬) দুপুরে আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক একরামুল রেজা টিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার বিকেলের পরই হাসপাতালের সেবা কর্মীরা বুঝতে পারেন, ওই রোগী নির্ধারিত ওয়ার্ডে নেই। এরপর হাসপাতালের এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারেন যে, সেই রোগী পালিয়েই গেছেন। এমনকি ওই রোগীর পরিবারের লোকেরাও জানান যে তিনি বাড়ি ফেরেননি। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকটা দায়সাড়াভাবে সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেই বসে আছেন বলে সচেতন মহল মনে করছেন। এদিকে এমন কঠিনতম সময়ে হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গোটা শহরজুড়ে উদ্বেগ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে করোনা হাসপাতালের দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে ওঠেছে চরম দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ।
আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করাসহ এখানকার নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা উপ-পরির্দশক (এস.আই)আব্দুল সামাদ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই রোগীর খোঁজে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে পুলিশ প্রহরাও বাড়ানো হয়েছে।’