1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে সাপ্তাহিক হাট গুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল প্রশাসনকে অবগত করার পরেও নেই কোন পদক্ষেপ

  • সময় : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৫৯০

বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে ২০০২ সালে সংশোধিত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন পরিবহন বাজারজাতকরণ সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। তা সত্ত্বেও মানতেছে না জাল ব্যাবসায়ীরা । ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে সাপ্তাহিক হাট গুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল । প্রশাসনকে অবগত করার পরও নেই কোনো পদক্ষেপ ।

কিন্তু বাস্তবে এই আইন যে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে , উপজেলার সাপ্তাহিক হাটে কাতিহার ,নেকমরদ,ও যাদুরানী বাজারে কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রির খবরে এতে প্রশাসনকে অবগত করলেও নেই কোন প্রকার পদক্ষেপ ।

শনিবার কাতিহার ,রবিবার নেকমরদ , এবং মঙ্গলবার যাদুরানী ,হাট পরিদর্শন করে দেখা গেছে , প্রতি সপ্তাহে এই তিন হাটে প্রায় কয়েক লাখ টাকার কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে।

এসব জাল দিয়ে জেলেরা বিভিন্ন নদী, খালে ,বিলে দেশি প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করছেন। বর্ষার শুরু থেকে এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাছ ধরার পরিমাণ আরও বেড়েছে।

এভাবে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে, তাহলে জেলা মৎস্য অফিস কী করছে? তারা কেন কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এসব দেখার দায়িত্ব তো তাদেরই। এবং তারা স্থান না দেখে থাকলে দেখিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো প্রকার পদক্ষেপ কেন ?

কারেন্ট জাল দিয়ে এভাবে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে এর ফল কী হতে পারে, তা বিবেচনায় না নিয়ে তারা যেমন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে, তেমনি আইন অমান্য করতে সাহায্য করছে। এমনিতেই নানা কারণে আমাদের বহু প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

তার ওপর যদি কারেন্ট জাল দিয়ে এভাবে অবাধে মাছ ধরা হয়, তাহলে আরও অনেক প্রজাতির মাছ যে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে শুধু রাণীশংকৈল উপজেলায় নয়, বিভিন্ন ভাবে মুঠো ফোনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ জেলার বেশ কিছু হাটে এবং আরও বহু স্থানে কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিক্রি হচ্ছে। সেসব জাল দিয়ে জেলেরা মাছ ধরছেন। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারেন্ট জাল আটক এবং সংশ্লিষ্ট জেলেদের মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানার খবর আমরা শুনতে পাই।

কিন্তু সামগ্রিকভাবে এই ক্ষেত্রে যে খামখেয়ালি রয়েছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু এ রকম তো চলতে পারে না। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে অবশ্যই এই জালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তবেই থামবে এই কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীরা । কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাশাপাশি জেলেসমাজের মধ্যে বৈধ জাল ব্যবহার করে জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তাঁদের জালে মাছ, পোনা বা জাটকা ধরা পড়লেও যাতে তাঁরা সেগুলো পরে জলাশয়ে ছেড়ে দেন, সে ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
আমাদের আমিষের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ হয় মাছ থেকে।

তাই মৎস্য সম্পদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং উৎপাদন না বাড়িয়ে কোনো উপায় নেই। মৎস্য খাতের ভবিষ্যতের স্বার্থেই কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরকে নিয়মিত অভিযান ও প্রচার-প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফ্রিকাকে কম বেশি প্রায় প্রতি সাপ্তাহিক হাটে তথ্য দেওয়া জন্য ফোন দেওয়া হয় । কিন্তু তিনি কোন প্রকার ফোন রিসিভ করেন না ।

তিনাকে না পাওয়া গেলে রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি ) প্রীতম সাহাকে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ জানানো হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে ইউএনও স্যারকে জানাতে হবে । বা আমি ব্যাবস্তা নিব বলে এড়িয়ে যান তিনিও ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪