ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর এককালীন ২৫০০ টাকা প্রদানের তালিকায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে এবার ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল মাসুম গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
ওই আবেদনের অনুলিপি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
প্রাপ্ত ওই আবেদনে অভিযোগ করা হয়, লাউর ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে নেয়া প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রদানের ওই তালিকাটিতে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সুস্পষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় একাধিক মেম্বার ওই তালিকায় প্রকৃত দরিদ্রদের বদলে নিজেদের আত্মীয় স্বজন ও বিত্তশালীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। এদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার পূর্ণিমা বণিক ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল মিয়া নিজেদের বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয় ও স্বজনদের নাম বেশী তালিকাভূক্ত করেন। এ ছাড়া চেয়ারম্যান সুস্থ ও স্বচ্ছল লোকদেরকে দরিদ্র দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ আর্থিক সহায়তার তালিকায় নাম তুলেছেন।
এ বিষয়ে আবেদনকারী আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন,’আমি খুব কমই অভিযোগ করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত হলে লাউর ফতেপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়বে।
ইউপি মেম্বার জামাল মিয়া ও পূর্ণিমা বণিক অভিযোগ স্বীকার করে বলেন,”নিজের ঘরের আত্মীয় স্বজন একেবারেই দরিদ্র বিধায় তাদের নাম তালিকায় দিয়েছি। তবে তারা অসহায় হওয়ার পরও যদি আমাদের আত্মীয় হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা না পান, তাহলে সেইসব নাম কেটে দেয়া হোক।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন,”আমি এখন খুবই অসুস্থ। তবে বিত্তশালীদের নাম তালিকায় ওঠারতো প্রশ্নই ওঠেনা। এসবই অসত্য অভিযোগ। একটি কুচক্রী মহল এসব অপপ্রচার করছে।”
নবীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম জানান,”এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”