রংপুর নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের সূত্রাপুর এলাকায় ঠেঙ্গামারা সমিতির ম্যানেজারের কাছে জাহানারা বেগম নামের এক নারী লাঞ্চিত ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।(২২ সেপ্টেম্বর,২০২০) মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে সূত্রাপুর এলাকায় এ লাঞ্চিত ও হামলার ঘটনা ঘটে।
টিএমএসএস (ঠেঙ্গামারা)এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শফিউল আলম (৪০) ও ফিল্ড সুপারভাইজার মোছাঃ বিলকিস বেগম (৩৫) টিএমএসএস (ঠেঙ্গামারা) সমিতি , মডার্ন মোড়,শাখায় কর্মরত।
জাহানারা বেগম বলেন, আমাকে তাদের এনজিওতে সদস্য হিসাবে ভর্তি করিয়ে নেয় এবং আমাকে লোন দেওয়ার কথা বলে ভর্তি করে নেয়।আমি ৩,৩০০/- টাকা সঞ্চয় জমা করি এবং আমি লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করি।আমাকে যথা সময়ে লোন না দিয়ে টালবাহনা করে। মঙ্গলবার ২২/০৯/২০ইং তারিখে দুপুর ২.৩০ মিনিটে আমার বাড়ি সংলগ্ন হায়দারের দোকানের সামনে দেখা পেয়ে আমার লোন দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে ম্যানেজার সফিউল ও বিলকিস বেগম আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমাকে লোন দিবে না বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
আমি নিষেধ করলে আমাকে ধাক্কাধাক্কি ও কিল ঘুষি মারে আমার গায়ের কাপড় ছিরে দেয়,ম্যানেজার বিলকিস ও অজ্ঞাত এক মহিলা।প্রত্যক্ষদর্শী নূরনবী ও হায়দার বলেন ম্যানেজার ও দুই মহিলাসহ মোটরসাইকেল থামিয়ে জাহানারাকে মারধোর শুরু করে ও জাহানারার স্বামী ও ভাইকে টানা হেচরা করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।পরে আমরা বাধা দিলে ম্যানেজারসহ ৪ জন এখান থেকে চলে যায়।

এব্যাপারে ঠেঙ্গামারার এরিয়া ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম বলেন আমি অফিসের বাহিরে ছিলাম একটু আগেই এই ঘটনার কথা শুনেছি।এখন আমি কিছু বলতে পারবো না।আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রকৃত অপরাধী কারা তা জানার পরে ব্যবস্থা নিবো

ও এস আই আলামিন বলেন আমি সদস্য জাহানারার অভিযোগ টা পেয়েছি, ঘটনা স্থলে গিয়ে সব কিছু সঠিক ভাবে জেনে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।