করোনার নেগেটিভ রিপোর্টের (জাল সনদ) দাম ৫০ রিঙ্গিত। প্রবাসীদের অনেকেই এই সার্টিফিকেট কিনে সঙ্গে রাখছেন। একটি সিন্ডিকেট বেশ কিছুদিন যাবত এমন অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে, এই খবর পৌঁছে যায় মালয়েশিয়ার পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কাছে। তারা অপরাধীদের ধরতে গোপনে ফাঁদ পাতে, ধরা পড়েন সিন্ডিকেটের মূলহোতা দুই বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান দাতুক মাজলান লাজিম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে আমরা অপরাধীদের ওপর নজর রাখছিলাম, অবশেষ তারা ধরা পড়ল। একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মাসখানেক ধরে এমন কাজ করে আসছে তারা। এর অর্থ হল, ইতোমধ্যে করোনার অসংখ্য নকল সার্টিফিকেট চলে গেছে অনেকের হাতে। সেসব সার্টিফিকেট উদ্ধার করতে আরেকটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওই পুলিশ সদস্য আরো বলেন, আটককৃতদের পুরো পরিচয় আমরা এখনই প্রকাশ করছি না। তবে এটুকু বলছি, দুজন বাংলাদেশি অভিবাসী স্থানীয় দুজন লোককে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করে আসছিল। যে দোকান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে, সেখানে পাওয়া গেছে দুটি ল্যাপটপ, তিনটি প্রিন্টার, দুটি ল্যামিনেটিং মেশিন, নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের দুটি শিটসহ আরো অনেক কিছু।