যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম প্রামাণিককের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা । সোমবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে জবি প্রধান ফটকের সামনে সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা ।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, একজন শিক্ষক যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রমাণ হওয়ার পরেও তাকে কেন শাস্তির আওতায় আনা হয়নি?
২০১৭ সাল থেকে তদন্ত চলছে অর্থাৎ তিন বছর ধরে যে তদন্ত চলছে এটা শিক্ষার্থীদের দাবি দাবায়ে রাখার জন্য একটা প্রহসনের নাটক করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মূলত এই শিক্ষককে বাঁচানোর জন্য তিন বছর ধরে এই তদন্তটা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। আপনারা জানেন এর আগেও ২০১৭ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজিব মীরকে একই অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়, তাকে যদি বহিষ্কার করা যায়, তাহলে আব্দুল হামিদ প্রামাণিককে কেন বহিষ্কার করা যাবে না?
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জবির নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ আনেন দুই শিক্ষার্থী। এঘটনায় দুই দফা তদন্তের পর ২০১৮ সালে ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে তিরস্কার ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রী এমন শাস্তিতে অসন্তুষ্ট জানিয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিলে ফের উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ চলতি বছর ৭ সেপ্টেম্বর ৮২তম সিন্ডিকেটে তাকে লঘু শাস্তি দেওয়া হয়৷ তবে তদন্ত কমিটির অস্পষ্ট বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।