প্রায় দেড় মাস পর অজ্ঞাতনামা শিশু জিহাদ (১২) হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত হয়েছে।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো পিবিআই রংপুর, দীর্ঘ তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) হত্যাকান্ডের শিকার শিশুর পরিচয় ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা ও সৎ মা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্রমতে, গত ১৬ জুলাই ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা ফরেস্ট বাইপাস সড়কের পাশে একটি তালাবদ্ধ ট্রাংক থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সন্দেহজনক ট্রাংকটি খুলে বেডশীট ও কাথা মোড়ানো অবস্থায় একটি অর্ধ গলিত লাশ পায়। পিবিআই রংপুর তৎক্ষনাৎ ক্রাইমসিন সংরক্ষন করে ও সকল বস্তু, সাক্ষ্য যথাযথ ভাবে সংগ্রহ করে এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। লাশটি ঝলসানো ও অর্ধ গলিত থাকায় ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করে সে সময় শিশুটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলা করা হয়।
রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের এর নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম তথ্য প্রযুুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ১ মাস ১৭ দিন পর অপরাধের মোটিভ, প্রক্রিয়া ও মৃত ব্যক্তির পরিচয় নৃশংসতম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার একটি এনজিওতে কর্মরত নিহত শিশু জিহাদ (১২) এর বাবা জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আটক জিয়াউর রহমানের স্বীকারোক্তি মতে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় তার ভাড়া বাসা থেকে ২য় স্ত্রী শিশু জিহাদের সৎ মা আলেয়া মনি(১৯), ও তার শ্বশুর আইয়ুব আলী (৫৫),কে গ্রেফতার করা হয়।
তার ভাড়া বাড়ি থেকে ইলেক্ট্রিক ওয়াটার হিটার জব্দ করা হয়। যার মাধ্যমে জিহাদকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য গরম পানি নিক্ষেপ করা হয়।