ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আলোচিত প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ফারুক খাঁন কে গ্রেফতার করেছেন ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশ।শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধর্ষক ফারুক খাঁনের এক প্রতিবেশির বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীলের নেতৃত্বে এ এস আই সুজনসহ পুলিশের একটি টিম।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর ৫নং ওয়ার্ডের স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জননী প্রতিবন্ধী নারী কে ধর্ষণ করেন ফারুক খাঁন ও আবু মাল নামের দুই লম্পট, দুইজনই সম্পর্কে ঐ প্রতিবন্ধীর চাচা ও মামা, এই ঘটনায় গত ৫ মার্চে পুলিশ ধর্ষিতা কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় দুইজন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, ঐ মামলায় পুলিশ আসামী গ্রেফতারের অনেক অভিযান করেও ব্যর্থ হয়েছে, অবশেষে গতরাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।ধর্ষক ফারুক খাঁন গ্রেফতারের খবর শুনে ধর্ষিতার পরিবারসহ রাজাপুরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে, তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুলিশ কে, পুলিশ ইচ্ছে করলেই যে সব সম্ভব তা আরেকবার প্রমাণ করলেন ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীল।এদিকে ধর্ষক ফারুক খাঁন গ্রেফতারের পর স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল বয়াতী ও আকতার মৃধা নামের দুইজন ধর্ষিতার পরিবার কে বলেন কাজটা বেশি ভালো করলি না বলে হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।খোজঁ নিয়ে জানা যায়, রাজাপুরের যে কোন অনিয়মের সাথেই বাবুল বয়াতি জড়িত, এই ধর্ষণ মামলা কে ধামাচাপা দিতে কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছে প্রভাবশালী বাবুল বয়াতী ও তার সাঙ্গুপাঙ্গুরা, তদন্ত সাপেক্ষে এই সহযোগীদের ও আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।