ডেইলি স্টার পত্রিকার ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে জেলার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত জুয়েল রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা যায়, দুপুরে রাজাপুর উপজেলা সদরে ইসলামিয়া ফার্মেসী ও এর সামনে আফজাল ফার্মেসীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আফজাল ফার্মেসীর মালিকের ছেলে অপু আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যায়। এ ঘটনার খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেলে জুয়েলের ওপর হামলা করে ইসলামিয়া ফার্মেসীর মালিক আহসান হাবিব সোহাগের লোকজন। আহত জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকের অনিয়মের বিষয়ে গত বছর ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। এতে ক্লিনিক ব্যবসায়ী সোহাগ আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ ছাড়া আজ সোহাগের মালিকানাধীন ইসলামিয়া ফার্মেসিতে যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তাতে আহত অপু আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। এ সময় সোহাগের নির্দেশে তার ক্লিনিকের কর্মচারী রুহুল আমিনসহ কয়েক যুবক আমার ওপর হামলা করে। এতে আমার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ছাড়া ক্লিনিক মালিক সোহাগ আমাকে চাঁদাবাজ সাজাতে মান্নান নামে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালককে চাকুরির প্রলভোন দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করিয়েছিলেন। মান্নানের সেই শিকারোক্তির ভিডিও চিত্র আমার কাছে রয়েছে’ । এ বিষয় জানতে চাইলে ক্লিনিক ব্যবসায়ী আহসান হাবিব সোহাগ বলেন, ‘আমার নির্দেশে জুয়েলের ওপর হামলা করা হয়েছে এটা সঠিক নয়। বরং আমার কর্মচারি রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়েছে। আহত রুহুল আমিন ও হামিম নামে আমার দুইজন কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জুয়েল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’ এ বিষয় রাজাপুর থানা ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ফার্মেসির ঘটনা ও সাংবাদিক জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তারা চাইলে মামলা করতে পারেন। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।