রংপুরে ছাত্রলীগ সভাপতি রনির বিরুদ্ধে ময়নার কোতয়ালী থানায় মামলা
বাংলাদেশ বুলেটিন টুয়েন্টি ফোর – রংপুর ব্যুরো।
রংপুরে ছাত্রলীগ সভাপতি রনির বিরুদ্ধে ময়নার কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের।
আজ দুপুর তিন ঘটিকায় ময়না রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি এর নামে এই মামলা দায়ের করেন,,,
রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান রনির বিরুদ্ধে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষিকা রংপুর মেট্রো কোতয়ালী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মেহেদি হাসান সিদ্দিকী রনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর ফতেপুর গ্রামের আবু বক্কর এর ছেলে।
ভুক্তভোগী (ছদ্ধ নাম) সোনিয়া বলেন, রনির সাথে পরিচয় হওয়ার পর বিভিন্ন সময় রনি আমাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন রকম প্রস্তাব দেয় এবং এক পর্যায়ে রনি আমার সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়িয়া তোলে এবং আমাকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে রনি আমাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে আমার সাথে শাররীক সম্পর্ক করতে চাইলে আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই। নারী লোভী রনি হীনস্বার্থ চরিতারথ করিবার মানষে তার নীলফামারী জেলার বন্ধু সজল কুমারের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভুয়া কাজী দ্বারা আমার সহিত রনির বিবাহের কাবিননামা সম্পাদন করেন। সজলের বাড়ীতেই নাটকীয় বাসরঘড় সাজিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এর পর রনি আমাকে বিভিন্ন জায়গায় শুধু বেড়াতে নিয়ে যায় সহবাস করার জন্যিই। এমনকি পাশের দেশ ভারতে নিয়ে যায় এবং সেখানেও আমার সঙ্গে সে সহবাস করে।
তিনি আরো জানান, এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর আমি রনি কাছে বঊয়ের মর্যাদার দাবি করে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করলে রনি আমাকে বলে তার ছাত্র রাজনীতির পদপদবী ও মর্যাদার কারনে আরোও কিছু দিন দেরি করিতে হবে। নারী লোভী রনি আমাকে বিভিন্ন প্রভোলন দেখিয়ে আমার কাছে ১৮ লক্ষ টাকা কৌশলে গ্রহন করে।ঐ নারী আরো জানান, গত ৫ জুন রাতে নগরীর কেরানী পাড়াস্থ ভাড়া বাসায় রনি আসে এবং আমার সাথে রাত্রী যাপন করে। সে রাতে আমি তাকে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ করিলে সে দলীয় ব্যাপারে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে বলে আমাকে জানান। আমি রনি কে টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করিলে রনি আমাকে তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করার জন্য হুমকি দেয় এবং সে বলে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই বা অতীতেই ছিলো না।
ঐ শিক্ষিকা তখন বিবাহের কাবিন নামার কথা বলিলে সেই ছাত্রলীগ সভাপতি রনি বলে আমাদের কোনো বিবাহ হয় নাই বা কোনো কাবিননামাও সম্পাদিত হয় নাই। এছাড়াও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ১২ জুলাই রাতে তাকে ডাকিয়ে নিয়ে যায় তার ফুফুর বাড়ীতে। সেখানে সেই বাসায় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার কাছে জোরপূর্বক ফাকা ষ্ট্যাম্পে সহি স্বাক্ষর করিতে বলিলে তিনি সহি দিতে অস্বীকার করিলে তাকে হামিদুল, বেলাল,তাপসসহ অপরিচিত আরো বেশ কয়েকজন ছেলে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত ও মারডাং করে। আমার জীবন বাঁচার খাতিরে নিরুপায় হয়ে ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে কোনো রকমে জীবন বাচাই। পরে আমি সবার কাছে স্মামীর অধিকার আর স্ত্রীর মর্যাদার অধিকার পাবার আশায় এই সমাজের অনেক বড় বড় নেতার কাছে গেলেও বিচার পাইনি। তাই আজ স্ত্রী মর্যাদা আর স্বামীর অধিকারের আশায় যখন ব্যর্থ আমি। তখন একজন নারী লোভী ক্ষমতাধর ছাত্রলীগ নেতার এই কুকর্মের শাস্তি দাবি করে থানায় অভিযোগ হয়েছে। আমি বিচার চাই।
অপর দিকে প্রতিবেদক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান সিদ্দিকি রনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া সম্ভব হয় নিন।
এব্যাপারে রংপুর মেট্রো কোতয়ালী থানার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।