অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর করা গোলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমের সেরা গোল নির্বাচিত হয়েছে। দর্শকদের ভোটে প্রায় ৪ লক্ষ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছেন রোনালদো। শুধু তাই নয়, চলতি মৌসুমে য়্যুভেন্তাসের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
আর এসব কিছুর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রোনালদো। আসছে মৌসুমে আরো ভালো ফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রোনালদো। মেসিকে নিয়ে আলোচনার ভিড়ে রোনালদোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা গোল অর্জনের খবরটি যেন চাপা পড়ে যায়। রাউন্ড অব সিক্সটিনে অলিম্পিক লিঁওর সঙ্গে ম্যাচের তখন ৬০ মিনিট।
ফিরতি লেগের ম্যাচটায় তখন ১-১ গোলের সমতা। নিজেদের মাটিতে হারতে বসেছিল ইতালির সেরা দলটা। দেবদূত হয়ে এলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। বাঁ-পায়ের এমন জোড়ালো শট ফেরানোর বৃথা চেষ্টা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি লিঁওর গোলরক্ষক। ম্যাচটা সেদিন ২-১ এ জিতলেও প্রথম লেগে হারের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যায় য়্যুভেন্তাস। কিন্তু রোনালদোর সেই গোলটি ঠিকই জিতে নিয়েছে পুরো লিগের সেরা গোলের পুরস্কার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দল খারাপ করলেও রোনালদো বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। য়ুভেন্তাসে যোগ দেবার পর টানা দুই মৌসুম ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন। সবধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৩ ম্যাচে করেছেন ৩১ গোল। চলতি মৌসুমে ক্লাবের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। দু’হাত ভরে দিয়েছেন ক্লাবকে। ক্লাবও প্রতিদান হিসেবে কম দেয়নি। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অকুণ্ঠ রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে মাধ্যমে করলেন ক্লাবের প্রতি ভালবাসা জ্ঞাপন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেন, ‘আমি সত্যি য়্যুভেন্তাসের প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্লাবের সাপোর্টিং স্টাফ, টিম মেটস, কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে ভালো খেলা সম্ভব হতো না। ক্লাবের প্রতিটি মানুষ আন্তরিক। এখানে সবাই একসঙ্গে দলের জন্য কাজ করে। এভাবে খেললে একদিন ইউরোপ সেরা হবার স্বপ্ন দেখতেই পারি।’
মেসির বার্সা বিচ্ছেদের আভাসে রোনালদো-মেসির যুগলবন্দী মঞ্চায়ন দেখতে শুরু করেছিল অনেক। মেসি সেরা নাকি রোনালদো সেরা এ প্রশ্নের উত্তরের গন্তব্যটা অফুরান। প্রায় এক দশক রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে তুরিনে থিতু হয়েছেন সাত নম্বর জার্সি পরা মানুষটা। নতুন মৌসুমেও এখানে থাকার ইঙ্গিত দিলেন।