বরিশালের উজিরপুরের সানুহারে আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু দস্যুরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সানুহার থেকে সানুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৯শত মিটার রাস্তা নবনির্মিত হয়েছে। সে রাস্তার পাশ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শোলক ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শাহালম খানের ছেলে অসাধু ব্যবসায়ী মহসিন খান আত্মঘাতী ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে মাদ্রাসার সামনের গভীর পুকুর ভরাট সহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে বালু ভরাটের কার্যক্রম চালাচ্ছে। জানা যায় ওই এলাকার প্রভাবশালী হারুন অর রশিদ হাওলাদার(৬৫) ও তার ছেলে মাহমুদুর রহমান হাওলাদার(৩৫) এর ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। একারণে নবনির্মিত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ডেবে যায় এবং ফাটল ধরেছে ও আশে পাশের কয়েকটি বসতবাড়ীতেও ফাটল ধরেছে। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে পুরো এলাকায় ডেবে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে একই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং উক্ত রাস্তার ঠিকাদার মোঃ ইকবাল হোসেন হাওলাদার প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করছে মাহমুদুর রহমান হাওলাদার ও তার পিতা হারুন অর রশিদ হাওলাদার। হুমকীর মুখে আতঙ্কে ঠিকাদার পরিবার। এ বিষয়ে ৪জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাসের কাছে অবহতি করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জয়দেব চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং একটি মেশিন জব্দ করেন। এদিকে প্রশাসনের টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আরো জানা যায় কয়েকদিন পূর্বে পানি নিস্কাসনের জন্য নবনির্মিত রাস্তার একফুট নিচ থেকে পাইপ সংযোগ দেয়। এতে করে রাস্তা ডেবে যায়। এর প্রতিবাদ করলে হারুন আর রশিদ হাওলাদার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদার ইকবাল হোসেন হাওলাদারের উপর হামলা চালিয়েছিল। তাদের দাপটের কাছে এলাকার সাধারনরা জিম্মি। ওই প্রভাবশালীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।