ত্রিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মরহুম ময়েজউদ্দিন আহম্মেদ ৫৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার ২৮ শে আগস্ট সন্ধ্যায় ত্রিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম এর সঞ্চালনায় অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও সহযোদ্ধা মরহুম ময়েজউদ্দিন আহম্মেদ এমপির মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামূল হক, ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দীন আহমেদ,আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর, আশরাফ সিদ্দিকী পলাশ,শহিদুল আলম রিপন,মোঃশফিউল আযম,মোঃ মনির হোসেন,ফকরুল হাসান ফরাজী,রোবায়েদ হুসাইন রুসাত,
রবিউল ইসলাম হৃদয়,এম এ সামাদ,সুলতান আহমেদ, মোঃআব্দুল কাদের,এহসান আহমেদ,ত্রিশাল হেল্পলাইন সভাপতি, পোড়াবাড়ী হেল্পলাইন এডমিন জাককানইবি ছাত্র নেতা হামিদুর রহমান সুমন,ত্রিশাল হেল্পলাইন এডমিন মোঃহিমেদুজ্জামান হিমেল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মরহুমের জীবনী সম্পর্কে আলোচনা, পরিবারসহ সকল কবরবাসীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দ্যা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য,মরহুম ময়েজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৫৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি ছিলেন ও তার স্ত্রী মরহুমা খুরশীদা ময়েজউদ্দিনও ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ত্রিশালের কৃতি সন্তান শাহ আহসান হাবিব বাবু জানান আমার চাচা মরহুম ময়েজ উদ্দিন আহমেদ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহে আসলে মরহুম ময়েজউদ্দিন আহমেদের বাসায় খাওয়া দাওয়া ও অবসর সময় কাটাতেন।বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পদধূলি আমার চাচার বাসায় পড়েছিল। স্বাস্থ্য,শিক্ষা,চিকিৎসা,রাস্তাঘাট, অবকাঠামোগত উন্নয়ন মূলক কাজে সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখে সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন।
স্বজন প্রীতি নয় জন সেবাই ছিলো যার জীবনের বৈশিষ্ট্য। সন্তান,আত্মীয় সজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে তিনি ১৯৬৭ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে পারি জমিয়েছেন।