শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়ায় ২ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম কর হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের আলম ডাক্তারের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। সুমন ও সবুজ নামে গুরুতর আহত ওই ২ ছাত্রলীগ নেতাকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
হামলার শিকার বাঘড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ সুমন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সবুজকে নিয়ে তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাঘড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মধ্য বাঘড়া এলাকার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সবুজ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তিনি পেছনে বসে ছিলেন।
সুমন ও সবুজ আলম ডাক্তারের বাড়ির সামনে রস্তার আইল্যন্ড ক্রস করার জন্য
মোটরসাইকেলের গতি কমালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ওই এলাকার সালাম মেম্বার, তার ভাই আলম এছাড়া সালাম বাহিনীর,রুবেল,হৃদয়,নাহিদ,বিজয়,জসিম,মাসুম,মাসুদ,সোহেল, সাগর, কাউসার,নয়ন, মোশারফ, নাজিবর, সাজিবর সহ আরো কয়েকজন মিলে তাদের উপর হামলা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র সহ রাস্তায় অবস্থান নেয়।
এসময় সালাম মেম্বার তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়লে তা লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয় বলে সুমন অভিযোগ করেন। পরে আলমের নির্দেশে তাদের বাহিনীর বাকি সদস্যরা সুমন ও সবুজের উপর হামলে পরে এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। এসময় সুমন ও সবুজের চিৎকারে পাশ^বর্তী বাঘড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রীনগর থানার এসআই আবুল কালাম তার সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও সবুজকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা গুরতর দেখে তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।সুমনের দলীয় সহকর্মীরা জানায়, তাদের অবস্থা আশংকা জনক, সবুজের পেট ও পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৯টি কোপের ক্ষত রয়েছে। সুমনের কানের পেছনে ও ঘাড়ে দুটি কোপ দিয়েছে।
সালাম বাহিনী সুমন ও সবুজকে বহনকারী পালসার মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে ফেলে।এই ব্যাপারে বাঘড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, সুমন ও সবুজ ফাঁড়ি থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের চাপাতি দিয়ে কোপিয়েছে।এই বিষয়ে সালাম মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, পুলিশের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, গুলির কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার ভুক্ত ভোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।