বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। যাকে বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলারেদশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রংপুর জেলা শাখার আওতাধীন হারাগাছ পৌর শাখা ছাত্রদলের ২১ সদস্য আহবায়ক কমিটিতে এক ঘরেই চার ভাই রয়েছেন ও রংপুর দীর্ঘদিন থেকে নেই অন্য বিভাগে চারকী করছেন তারই এই কমিটিতে আছেন অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলের এই আহবায়ক কমিটিতে বিবাহিত ও ব্যাসায়ীদের ছড়াছড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়, হারাগাছ পৌর শাখা ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক হারাগাছ নিউ কাজীপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মেহেদি ফয়সাল ফরিদ সে বর্তমানে কক্সবাজার চিটাগগং এলাকায় এন্জিও কর্মরত আছেন। ফরিদ আর ছাত্র নয় এখন সে চারুরী করছেন কক্সবাজারে।
হারাগাছ নিউ কাজীপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামরে ছেলে মেহেদী হাসান সোহেল (৫-নং যুগ্ম আহবায়ক) পদে আছেন। সোহেল ব্যবসা নিয়ে ব্যাস্ত আছেন, কখনই রাজনৈতিকের মাঠে দেখা যায় না। মেহেদী হাসান সোহেলের ভাই আতাউর রহমান সবুজ (৭-নং যুগ্ম আহবায়ক) ১-সন্তানের জনক। সে বর্তমানে রংপুরে নেই, আছে টাঙ্গাইলে চাকুরী করছেন।
আতাউর রহমান সবুজ ও মেহেদী হাসান সোহেলের চাচা তো ভাই বিপ্লব বিজয় সদস্য পদে এই কমিটিতে রয়েছেন।
এদিকে হারাগাছ মিয়া পাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেন মারুফের পুত্র রাফি আল শিফাত রংপুর জেলা কমিটিতে সদস্য পদে আছেন। আর মহানগর (৫-নং যুগ্ম আহবায়ক) কমিটিতেও আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়একজন ছাত্রদলের কর্মীরা বলেন, আমাদের হারাগাছ পৌর ছাত্রদলের ২১ সদস্য কমিটি কি ভাবে হলো আমরা জানতেই পারলাম না। যাদেরকে কমিটির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক করেছেন তারা রংপুরে থাকেন না। তারা কি ভাবে পদ পেলো। মেহেদি ফয়সাল ফরিদকে আহবায়ক করেছেন সে তো রংপুরে থাকেন না।
সে কক্সবাজার চিটাগং এলাকায় দীর্ঘদিন ধওে এনজিও কম্পানীতে চাকুরী করেন। তাদের আত্মীয়-স্বজন ও অযোগ্যদের দিয়ে হারাগাছ পৌর ছাত্রদলের পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, অযোগ্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়একজন নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, মেহেদী হাসান সোহেল, আতাউর রহমান সবুজ নিজের দুই ভাই ও এদের চাচাতো ভাই হলেন বিপ্লব বিজয়। এক ঘরে তিন ভাই কিভাবে পদ পায়। এই কমিটি আমরা মনে করছি পকেট কমিটি হয়েছে। যারা রাজনিতি করার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছে তাদেরকে এই কমিটিতে রাখা হোক এই দাবি যানাচ্ছি।
সদ্য গঠিত হারাগাছ পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদি ফয়সাল ফরিদ এবিষয়ে বলেন, দল যেটা সিন্ধান্ত নিয়েছে সেটাই সঠিক সিন্ধান্তা নিয়েছে বলে মনে করি।
রংপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহাকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
যানাযায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নিদের্শনায় পৌর বা উপজেলা কমিটিতে কোন বিবাহিত বা ব্যাবসায়ী কেউ কমিটিতে থাকতে পারবেন না।
গতমঙ্গলবার ( ১১ আগস্ট) রংপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা এই কমিটির অনুমোদন করেন। হারাগাছ পৌর শাখা ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন।