ঝালকাঠি – বরিশাল রুটে চলাচল করে আল-মদিনা গাড়ি নাম্বার বরিশাল মেট্রো ব ১১- ০০ ১৬ সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।আবার এই করোনাকালে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়ার চেয়েও অধিকাংশ রুটে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
আজ (১৬ আগষ্ট) রবিবার ঝালকাঠি – বরিশাল রুটে চলাচল করে আল-মদিনা গাড়ি নাম্বার বরিশাল মেট্রো ব ১১- ০০ ১৬ বরিশাল থেকে ঝালকাঠি রুটে চলা আল-মদিনা বাসে ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। মোঃঈমন,রহিম,হাসিব,কাদের,করিম,আরাফাত,কাসেম,সহ বাসে ওঠা যাত্রী, তারা বলেন দুই সিটের ভাড়া একজনের কাছ থেকে আদায় করা ও দুই সিটে একজনকে বসানোর কথা থাকলেও এখানে ভিন্নরকম প্রতি সিটে একজন করে বসানো হচ্ছে আর দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়।
এতে করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। করোনা সংকটের কারণে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করে আগের ভাড়া বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ঝালকাঠির সাধারণ জনগণ। মোঃ মোস্তোফা হাওলাদার বলেন করোনা সংকট রয়ে গেলেও ঝালকাঠিতে এখন কোনো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল, তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না বাসগুলোতে। সরকার যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে মালিকদের নিয়ে বৈঠক করে এই সংকটে জনগণের ওপর একচেটিয়াভাবে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এ ঘোষণার পর পরই দেশব্যাপী চলাচলরত বাস-মিনিবাসের সঙ্গে লেগুনা, হিউম্যান হলার, টেম্পো, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন, টেক্সিক্যাবসহ সব যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এতে যাত্রী স্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়। করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার অজুহাতে বাসের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঝালকাঠি বাসী।