গত ১৬ই এপ্রিলের পাবনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোভিড ১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সর্বশেষ খবর পর্যন্ত পাবনায় রোগীর সংক্ষা দাড়িয়েছে ৮৯৬জন।করোনায় পাবনায় সর্বমোট কতজন আক্রান্ত হয়েছে এবং কতজনের শরীরে ইমিউনিটি ব্যবস্থা তা প্রতিরোধ করছে সেই সংখ্যাটা নির্নয় করা যায়নি। তবে পাবনা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা মনে করেন টেস্টহীন বিপুলসংখ্যক মানুষ পাবনায় করোনাকে জয় করেছে।
সংক্রমণের পিক পার করেছে পাবনাবাসী। ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন নিম্নগামী এবং পাবনা বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাবনায় শতকরা শনাক্তে হার ২৩ পার্সেন্ট। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে পাবনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৯১ জন ।তবে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।চলছে এক মহামারী এর মধ্যেই উদ্বেগ উৎকন্ঠা নিয়ে আসছে ডেঙ্গুর মৌসুমে।
গত বছর বর্ষা মৌসুমে পাবনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছিলো।আগষ্ট মাসের ৩১ তারিখে পাবনায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিলো ৬’শ বেশী । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃত্যু বরন করেছিলো ৩ জন।চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছিলেন। খুব হিমসিমই খেতে হয়েছিল ডেঙ্গু শনাক্ত আর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে।
গতবছর প্রথম অবস্থায় ঢাকাগামী বাসটার্মিনাল সহ শহরের দশটি জায়গাতে করোনার লার্ভা পাওয়া যায়। ঢাকাগামী বাসে স্প্রে,প্রচার প্রচারণাও বেশ ছিলো। তবুও ডেঙ্গু মোকাবেলায় হিমসিম খেতে হয়েছে এবং এডিসের বিস্তার লাভ করেছিলো। জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মেহেদী ইকবাল জানায়, ইতোমধ্যে পাবনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজতে নেমে পড়েছে তারা। এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে পাবনায় গতবছরে ডেঙ্গুর ভয়াবহ রূপ দেখে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় আছে মানুষ।
পাবনা পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু জানায়,ইতোমধ্যে এডিস মশা নিধনে পাবনা পৌরসভায় ওর্য়াডে ওর্য়াডে কাউন্সিলদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় পদক্ষেপ আরো তরান্বিত করা হবে।