করোনাকালেই একটি ডিও লেটারে সুপারিশ করাকে কেন্দ্র জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর ৩ আসনের এমপি রাহগীর আলমাহি সাদ এরশাদ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। মেয়রের নেতৃত্বে সাদ এরশাদের বিরুদ্ধে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও এমপি সাংবাদিক সম্মেলন করে একে অপরকে দোষারোপ করেছে।বিষয়টি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি।
মেয়র মোস্তফার অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধার পর রংপুর মহানগর জাপার সহ সভাপতি টিপু সুলতান রংপুরি একটি ওএমএমস এর ডিলারের আবেদনের বিষয়ে পল্লী নিবাসে এমপির কাছে ডিও লেটার নিতে যান। কিন্তু তাকে ডিও লেটার না দিয়ে এমপি ও তার স্ত্রী বহিরাগতদের দিয়ে টিপু সুলতানকে বেধড়ক মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করেন। শুধু তাই নয় অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতা ও বয়োবৃদ্ধ ওই নেতার বিরুদ্ধে সাদ এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১২ টায় মেয়রের নেতৃত্বে পার্টি অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মেয়র ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।এসময় মহানগর, জেলা জাতীয় পার্টিসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিক্ষোভের দুপুর ২ টায় পল্লী নিবাসে সাদ এরশাদ এমপি ও তার স্ত্রী মহিমা এরশাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে জাপা নেতা টিপু সুলতানের বিরুদ্ধেই মারপিট এবং স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ আনেন। সাদ এমপির অভিযোগ রংপুরের উন্নয়ন বাঁধা গ্রস্ত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে তিনি জীবনের নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছেন। অন্যদিকে এমপির স্ত্রী মহিমা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, টিপু সুলতান নামের দিয়ে ওই নেতা বরাদ্দ এবং ডিওলেটার তার মা ও তাকে নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেছে। পোশাক ছিড়ে দিয়েছেন। তার অভিযোগ এরশাদ পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতেই এই বিক্ষোভ করা হচ্ছে। এসময় তিনি সঠিক তথ্য না আসার অভিযোগ এনে মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেন।
(১)মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় পার্টি ও মেয়র, রঙপুর সিটি করপোরেশন।
(২) রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য রংপুর-৩
(৩) মহিমা সাদ এরশাদ, সাদ এমপির স্ত্রী।