জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহের ত্রিশালের আওয়ামী-পরিবারের সন্তান থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক ছাত্রনেতা, ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ বলেছেন,
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমার পরিবারেেও কারাবন্দীসহ বিভিন্ন অত্যাচার করেছে।
১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কথা বলতে গেলে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,
৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে আমার পিতা মরহুম আবুল হোসেন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী নিয়ে রাজপথে নেমে যান।
তখন ঐ খুনিরা নির্দেশে আমার পিতাকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ কারাগারে ৮মাস কারাবন্দী রাখেন।
সে সময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদসহ মুজিব হত্যার প্রতিবাদী অনেক নেতাও ময়মনসিংহের কারাগারে বন্দী ছিল।
তখনকার সময়ে আমি ছোট থাকায় মায়ের হাত ধরে কারাগারে তাদের জন্য খাবার নিয়ে যেতাম। বন্দী পিতাকে কাছে না পেয়ে চোখের পানিতে বাড়িতে ফিরতাম। স্মৃতির ইতিহাস থেকে তার কথায় আবেগাপ্লোত চলে আসে।
মেয়র আরো বলেন স্বাধীনতার পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত আমার পরিবারের সবাই আওয়ামীগের সাথে জড়িত । মুজিব আদর্শ লালন করে দলের দূ:সময় আমার পরিবারে সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
এই দায়িত্ব পালন সহজ ছিল না । দল করতে গিয়ে অামার পরিবারের নেতাদের অসংখ্য মামলা হামলা ও কারাবাস করার রেকর্ড রয়েছে। তবুও কোন অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা থেকে ১ বিন্দু সরাতে পারেনি । বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে জনসেবা করে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে।
তিনি বিশ্বমানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বিভিন্ন দেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামীদের খোজে বের করে
দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবী জানান।