দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৭১’ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে নাম লেখায়।
যুগেযুগে কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এরপর থেকে বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমল পর্যন্ত সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের জন্য জি কে শামীম ও পাপিয়ার মত। সর্বগ্রাসীদের আবির্ভাব ঘটে যারা না কোনো দলের, না কোনো মতাদর্শের না, কোন দেশের!!!
এমনকি এদের জীবন যেন শুধুই বিলাসিতা আর গরিবের রক্তচুষে পানিতে পরিণত করা এক অর্থ লোভী গুইসাপ চরিত্র। যেখানে নির্লোভ আর আবেগী আয়েশার মত কর্মীরা হয়ে যায় অবাঞ্চিত অভিমানী এক কর্মীর চরিত্র।
কিন্তু মজার বিষয় হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সেনাশাসনসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পর্যন্ত এমন সর্বগ্রাসী গুইসাপ চরিত্রগুলোকে দলীয় ও সামাজিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। এর বলিষ্ঠ উদাহরণ আমরা দেখেছি ১৯৭৫ এর মেজর ডালিম থেকে শুরু করে জিয়া, এরশাদ সরকার হয়ে ২০০১ সালের খাম্বা মামুনদের। যাদের দৌড়তে হারিয়ে যায় দেশপ্রেমী, দলের প্রতি আনুগত্য এবং নেতার আদর্শ অবিচল নির্ভিক পথিক এক বলিষ্ঠ আয়েশা’র মত কর্মীরা।
বিভিন্ন সময়ে এই চরিত্রগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ করলেই আপনি জানতে পারবেন আজকের জিজ্ঞেস আমি কিংবা পাপিয়ারা কখনো কোন স্থানে স্থির হয়ে ছিল না সরকারের সাথে সাথে তারাও বদয়েছে দলের লেবাস। কখনো তারা গায়ে জড়িয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মুজিব কোট কখনোবা চোখে জিয়ার সানগ্লাস।
এসকল ক্ষমতালোভী ও অর্থলোভী ভয়ংকর ভাবে একটি মানুষের ভিতরে নানা রকম চরিত্রে আবির্ভূত হওয়ার মানসিকতা লালন কারীরা শুধুই নিজের বিলাসিতা আর বিদেশে অর্থের পাহাড় গড়ে তোলাকেই নিজের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে জন্ম নিয়েছে পাপিয়া আর যাদের বৃষ্টি কোথায় আছেন দল ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যাক্তিরা।
এজন্যই বর্তমান সময় হয়ে উঠেছে দেশিপ্রেমী, দলের প্রতি অনুগত এবং নেতার আদর্শে বলিষ্ঠ কর্মীদের বদল পাপিয়াদের সিজন আর আমাদের এই সময় থেকে বের হয়ে আসতে হবে দেশ-জাতির স্বার্থে এবং তা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে নয়তো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এবং ভালোবাসা আছে নবাগত তরুণ-তরুণী, যুবসমাজ রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।
যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে হয়ে উঠবে বড় প্রতিবন্ধকতা।