ঝালকাঠির রাজাপুরে নির্যাতিত একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বিচারের জন্য মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মামলা তুলেনিতে প্রতিনিয়ত হুমকী দিচ্ছে আসামীরা। ফলে নিজেদের জীবন বাঁচাতে তারা এখন ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আজ (১২ আগষ্ট) রোজ বুধবার সকাল ১১টায় রাজাপুর প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের চাড়াখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম হাওলাদার (৮০) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম হাওলাদার লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ত্রিশ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম চাড়াখালী গ্রামে একটি জমি ক্রয় করেন। সেই জমিতে গত ৩ আগষ্ট (রবিবার) গাছের চাড়া রোপন করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী রুস্তম গাজী ও আব্দুল বারেকসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। জমিতে তাদেরও অধিকার রয়েছে বলে দাবী হামলাকারীদের।
হামলায় মুক্তিযোদ্ধা রহিমসহ তাঁর পরিবারের সাতজন গুরুত্বর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বিচারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা রহিম হাওলাদারের ছেলে অকিল হাওলাদার ৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) থানায় মামলা করতে গেলে তা নেয়নি পুলিশ। নিরুপায় হয়ে তিনদিন পর ঝালকাঠি আদালতে মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা রহিম। আদালত ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজাপুর থানাকে মামলা এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেয়। মামলা এজাহার ভুক্ত হওয়ার পরেও আসামীরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেনা বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আদালত ইতোমধ্যেই মামলার দশ আসামীকে জামিন দিয়েছেন। বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।