ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অংশীদারী ব্যবসার মালামাল খোয়া যাওয়ায় ভুক্তভোগীর থানায় জিডি এবং প্রদেয় ৩০ লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনার হওয়ায় চাপ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক পার্টনারের যুবদল সভাপতির বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে চেক গ্রহণকারীকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কদমি গ্রামের আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে মিজানুর রহমান সোনা মিয়া, একই ইউনিয়নের বনমালীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের ছেলে রূপাপাত ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও ইয়ার আলী মিয়ার ছেলে আরিফ ঢাকার উত্তরায় একসঙ্গে ভাড়া অফিসে স্টকলটের ব্যবসা করতেন। করোনা মহামারীর কারণে মিজানুর রহমান গ্রামের বাড়ি কদমিতে চলে আসেন। গ্রামের বাড়িতে তিনি তিন মাস অবস্থান করেন। সেই সুযোগে ময়নুল ও আরিফ ঢাকার বাসার মালামাল, স্টকলটের কাপড় এবং চার মাসের ভাড়া না দিয়ে চলে যান। মিজানুর রহমান ঢাকায় গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে ময়নুল ও আরিফকে বারবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পান।
এ ব্যাপারে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় ব্যবসায়ী মিজানুর গত ৬ জুলাই একটি জিডি করেন। জিডি নং ৩৩২, তাং ০৬/০৭/২০২০।
এছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে ময়নুলের ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য মিজানুর রহমান তাকে ৩০ লক্ষ টাকা ধার প্রদান করেন বলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান। ময়নুল ৬ আগস্ট সিটি ব্যাংকের ৩ টি চেক প্রদান করেন। তিনটি চেকের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ টাকা রূপালী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ জেলার জয়নগর শাখা থেকে মিজানুর রহমান উত্তোলন করতে গেলে উল্লিখিত একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক তিনটি ডিজঅনার হয়।
এরপর মিজানুর টাকার জন্য চাপ দিলে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য যুবদল সভাপতি ময়নুল তার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে দিয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে ময়নুল আমার সঙ্গে ঢাকায় ব্যবসা করত। আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় আমি ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সেই সুযোগে ময়নুল প্রায় ১৭/১৮ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ কিছু অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ময়নুলের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি জিডি করেছি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে মামলা করেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং বনমালীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ময়নুলের বাবার করা মামলার এজাহারে পরিবারের নারী সদস্যদের লাঞ্ছিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নুলের পরিবারের সদস্যদের সাথে আমরা কথা বলেছি, নারী সদস্যরা জানিয়েছে তাদের শারীরিভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি।
তবে ময়নুলের ভাগ্নে বলেছে তাকে চড় থাপ্পড় মেরেছে। ঘটনার দিন আব্দুল মান্নান বাড়িতে ছিলেন না।
এ ব্যাপারে ময়নুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে (০১৭১১০০৮৬৬৩, ০১৯৭১০০৮৬৬৩) যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।