পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় হয় রঞ্জন হালদার (৫৫), তার স্ত্রী শিখা রানী মিস্ত্রী (৪৬) ও ছেলে শিশির হালদার (১৮) নামে তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শিশির ও তার মা শিখাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরন করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতোকাল রবিবার সকালে উপজেলা শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বকুলতলা এলাকায় কবিতা রানী হালদার জনান, সাংবাদিকদের ঐই দিন সকালে স্থানীয় রঞ্জন হালদারের সাথে একই বাড়ির দীপক হালদারের ছেলে দুলাল হালদারের গরুর গোবর ফেলা নিয়ে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে দীপক হালদার ও তার পুত্র দুলাল হালদার মিলে রঞ্জন হালদার পিটিয়ে আহত করে।
এ সময় তার ছেলে শিশির ও স্ত্রী শিখা তাকে রক্ষা করতে আসলে তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দিপক হালদার জানান, খালের ঘাটে গরুর গোবর ফেলার প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তাদের লোকজনের ধাক্কা ধাক্কিতে তারা আহত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভ ওঝা জানান, গুরুতর আহত শিশির ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।