কাজ এখনও শেষ হয়নি। এলাকায় বন্যাও হয়নি। পানিও সড়ক থেকে ছয়/সাত ফুট নিচে। ঠিকাদারও কাজ বুঝিয়ে দেননি। তবে কাজের বেশির ভাগ বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এ অবস্থাতেই মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। দেবে যাচ্ছে সড়কের দক্ষিণ অংশ। বৃষ্টিপাত হলে পুরো সড়কটি যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ আঞ্চলিক মহাসড়কের এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। প্রকল্পটি হেমায়েতপুর ভায়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জ বেওথা খালপাড় দিয়ে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। ২৫৪ কোটি টাকার ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এ সড়ক নির্মাণের ঠিকাদারের দায়িত্বে নিয়োজিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। শুরুতেই অভিযোগ ছিল মানিকগঞ্জের কোনো কোনো অংশে সঠিক মতো কাজ হচ্ছে না।
জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট কোহিনুর ইসলাম সানির অভিযোগ, অনিয়মের মধ্য দিয়েই আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজটি শুরু হয়। কাজ এখনও চলমান। এখানে বন্যাতো নয় বর্ষার পানিও সড়ক থেকে অনন্ত সাত ফুট নিচে। ঠিকাদারের পুকুর চুরি সেই সঙ্গে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলীর সঠিক দায়িত্ব পালন না করায় সড়কে ফাটল ধরে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হয়েছে। তার আইডি থেকে দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে গতকাল শনিবার সকালে সড়কটি পরিদর্শন করতে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী গাওসুল হাসান মারুফ।
মারুফ সাংবাদিকদের এ সময় বলেন, অনিয়ম হয়নি, নির্মাণ ত্রুটির জন্য সড়কে ফাটল ধরেনি। ৩১ কিলোমিটারে ৩০ শতাংশ ফাটল দেখা দিয়েছে। খালের পাশে মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা এবং বন্যার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। যেভাবে ঠিক করা যায় ১৫ দিনের মধ্যেই সে ব্যবস্থা করা হবে।
কাজ চলমান আছে। ফাটল ধরা স্থানে বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে এবং জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে যাতে সড়ক ভেঙে না পড়ে।