অপরহরনের দীর্ঘ ২বছর ৫মাস পর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রী নাসরীন সুলতানাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন পিবিআই ময়মনসিংহ। গতকাল তাকে উদ্ধার করে পিবিআই।
পুলিশ সুপার পিবিআই গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, নান্দাইল উপজেলার পুরহরি গ্রামের আবদুল আউয়াল এর মেয়ে নাসরিন সুলতানা নান্দাইল শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে পড়াকালীন সময়ে আসামী আল আমিন (২৩) প্রায়শই ভিকটিমকে ইভটিজিং করতো। সে কারণে গত ০৭/১১/২০১৬ খ্রিঃ ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৪০ (চল্লিশ) দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়।
এরপর আসামী জেল থেকে বের হয়ে নাসরিন সুলতানার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। মামলার বাদী আবদুল আউয়ালকে জেএমটি বলে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে এবং সংবাদ সম্মেলন ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি করায় বাদী আবদুল আউয়াল আসামীদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করে। ভিকটিম নাসরিন সুলতানা যখন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে ¯œাতক ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল ওই সময় গত ১৯/০২/১৮ খ্রিঃ সকাল ০৮.০০টায় নাসরিন সুলতানা কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল বিশ^বিদ্যালয়ে যাবার পথে বাটুয়ারাপাড়ার উত্তর দিকে আচারগাঁও ফাজিল মাদরাসার দক্ষিণ পাশে ফাঁকা জায়গায় পৌছামাত্র সকল আসামীগণ দা, কিরিচ, ডেগার/ছুরি ও অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্রসহ মাইক্রোবাস নিয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ভিকটিমকে অপহরণ করে।
তৎপ্রেক্ষিতে বাদী নান্দাইল থানায় অপহরন মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ মামলা তদন্ত শেষে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ তার জবানবন্দি নাঃশিঃ ২২ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে লিপিবদ্ধ না করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তথ্যগত ভুল দাখিল করায় বাদী নারাজী প্রদান করেন।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গত ০১/০৪/২০১৯ খ্রিঃ পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। সকল আসামীরা জামিনে মুক্ত থাকায় কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও পিবিআই গতকাল শনিবার সকালে মামলার ভিকটিম নাসরিত সুলতানা (২১) কে ত্রিশাল থানা এলাকা হতে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর নাসরীন সুলতানার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠায়।