মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বন্যা (১৫) নামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক নববধূর, শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার (৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর চাড়াভাংগা গ্রামের মল্লিক পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে । বন্যা উপজেলার চর চাড়াভাংগা গ্রামের সাব্বিরের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের বায়রা বেপারীপাড়া মহল্লার জুলমত আলীর কন্যা ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বায়রা বেপারি পাড়া গ্রামের মো.জুলমত হোসেনের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে বন্যা আক্তারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের চর চাড়াভাংগা গ্রামের মল্লিক পাড়ার মৃত.আবুল হোসেনের পুত্র মো.সাব্বির হোসেন (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই প্রেমিক যুগল ৭/৮ মাস আগে বাড়ী থেকে পালিয়ে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় । মেয়ের পরিবার তাদের এ বিবাহ মেনে নিলেও ছেলের পরিবার এ বিবাহ মেনে না নেয়ায় তাদের দাম্পত্য ও সংসার জীবনে কলহ ও অশান্তির সৃষ্টি হয় । মাঝে মধ্যে বন্যার নানা শ্বশুর মানসিক নির্যাতন ও জাল্-যন্ত্রনা করত বলে মেয়ের পরিবার জানান ।
বন্যার মা সুফিয়া বেগম জানান, ঈদের আগে বন্যার ননদ সেতু আক্তার বিদেশ হতে বাড়ীতে আসলে তাকে সব সময় কাজের মধ্যে রাখতো,সময় মত খাইতে পর্যন্ত দিত না। স্বামী ও ননদ যৌতুকের জন্য বন্যাকে মানসিক নির্যাতনও করত। গত বৃহস্পতিবার দিবা গত রাতের যে কোন সময় বন্যার নানা শ্বশুর দীনা বেপারি (৫৫),নানী শাশুড়ি ছালেহা বেগম (৫২),ননদ সেতু আক্তার (২৫), খালা শাশুড়ি গংরা পাশবিক নির্যাতন করলে বন্যার মৃত্যু হয়। বন্যা আত্মহত্যা করছে বলে ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করে তার শশুর বাড়ীর লোকজন । বন্যা অসুস্থ্য হয়েছে বলে তার ননদ সেতু আক্তার ভোরে ফোন দিয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা বন্যার শ্বশুর বাড়ীতে গিয়ে তার লাশ মাটিতে পড়া অবস্থায় দেখতে পায় । তার ঘাড়ে ও পায়ের ওপরে জখমের দাগ আছে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্যার শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
সিংগাইর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক অমিত কুমার দে বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । থানায় একটি অপমৃতে্যুর মামলা হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা